তোর নূপুরের আওয়াজে
হ্যাঁ রে, হাজার গল্প গুলো সাজে ।
তোমাতে মিশে থাকা নীল জলের সাগরে
আমি যে আছি বসে পা দুলিয়ে তীরে ।
বৃষ্টি ভেজা পায়ে তোর নূপুরের সুরে,  
পাগল হাওয়া, মাতাল সুরে গান বেঁধেছি রে ।
সেই যে মেঘলা হীনা দিনে, শান্ত পথের বাঁকে,  
মন মাতানো উজান করা শিউলির সুগন্ধে,  
খুঁজে নিয়েছি কত ছন্দ তোরই নূপুরের আওয়াজে ।  
হ্যাঁ রে, তোরই নূপুরের আওয়াজে ।।  

শিশির পড়া ঘাসের আগায়
হাত বোলানো আর বেয়ে পড়া চুল ,
লালচে রঙের সুতির শাড়ি - কানে পড়া দুল ,
এমন রূপে হারিয়ে যেতে , বলত কে করবে না ভুল !
সেদিন ভোরে ফুল কুড়োতে
যাবো তোর সাথে,  
নরম পায়ের বাসী আলতা ,
পরিত ছড়িয়ে হাঁটে ।
আদল ঠোঁটের মুচকি হাসি
সব বলেছে আমাতে ।  
পুকুর পাড়ে জল আনতে -
কলশী কাঁখে আঁচলটি কোমরে গুজে,  
খুঁজে নিয়েছি কতো ছন্দ তোরই নূপুরের আওয়াজে ।  
হ্যাঁ রে, তোরই নূপুরের আওয়াজে ।।

রক্ত রাঙ্গা লাল সিঁদুরে বটি বঁটি চুলে-  
মাঝ আঙিনায় মায়ের সাথে হাসির কথায় দুজনেতে,  
কতো খুশি সেদিন আমি লুকিয়ে তোকে দেখতে।  
সন্ধ্যা নেমে উলু ধ্বনি ,শঙ্খ বাজে ঠাকুর ঘরে,  
ভুলতে পারা বড় কঠিন- দেখতি ঘুরে যখন আমার তরে ।
আঙ্গিনা জুড়ে চি কিত কিত আর আদল সঙ্গীত বাজে,  
হ্যাঁ তোর ওই নূপুরের আওয়াজে ।
সব মিলানো বড্ড সোজা , তুই তো আদর্শ বঙ্গ বঁধুর সাজে ।।