কাগজের নৌকার ন্যায় ভাসিতে ভাসিতে,
কোথাও যেন ভিজে ডুবে গিয়েছে সমুদ্র স্রোতে ।
কোন সে পথ নিবিড় আর আলোর ছটা ,
আজ চেঁচিয়ে বিদীর্ণ করেছে আকাশ টা ।
যন্ত্রনা ছাড়েনি তাকে, ছাড়েনি কষ্ট আর লাঞ্ছনা-
কোন অবস্থায় কিসের অপেক্ষায় মন হয়েছিল আনমনা ।
পাবে সে কষ্ট যে তা দিতে পারে,
সইবে সবই বিপরীতে সহ্য হবে না তারে ।
উগ্র মনের আশা আর শ্রাবণের ধারা,
নয়নে না এসে আসবে মনে মেঘলা ছাড়া ।।
বঝে্নি কি সে প্রশ্ন নাকি সান্ত্বনা ,
কেউ শুধু দিয়েছে ব্যথা - দিয়েছে যন্ত্রনা ।
ভাঙ্গা গড়ার মাঝে জরিয়েছে শেষে,
বৃষ্টি টা হয়েছে রোদ্দুরে সুখের বেশে ।
কিছু আশা আর স্বপ্ন নিয়ে গোছর,
ভাসল নৌকাটা বছরের পর বছর ।
কখনো মনে হয়েছিল তার আমি যে একা,
হারিয়েছে সেদিন সঙ্গি , পেয়েও তার দেখা ।।
কাগজের নৌকা একটি পাশ ছিল লেখা ,
সে তো পড়েনি বা কিছুই লেখেনি ,হয়েছে শিক্ষা ।
তবে কি দোষ ছিল তার সে খুদ্র ,
বুঝেছে শেষে সে কারন , সে যে কাগজের টুকরো ।
কেউ তাকে মুঠো মুঠো স্বপ্ন দিয়ে গড়েছে,
বহু ভালোবেসে কষ্ট দিয়ে ছেড়েছে ।
তবুও সে নৌকা ছাড়তে চায়নি পথ,
থাকতে চেয়েছে সাথে, চায়নি যেতে পথ পানে হ্রদ ।
ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেছে বহুদূর একা একা,
তবুও স্বপ্ন দেখা ছাড়েনি শুধু পেয়েছে ব্যথা।
তাই তো প্রশ্ন করি ইশ্বর এ , কেন দিলে জন্ম ??
দিয়েছ জন্ম তবে দেখালে কেন স্বপ্ন ??
কাগজের নৌকার নেই গো কোনো বায়না,
আশা নেই একটুকুও -
ভাসতে ভাসতে ডুবল স্বপ্ন নিয়ে একমুঠো ।।