হায়রে দেশবাসী ...
বেশীর ভাগই ছদ্মবেশী ।।
নগর শহর গ্রাম চাইছে বিচার,
চারিদিকে শুধু নিরাশা আর হাহাকার ।
আর কতবার বলি আর কতবার ,
মানুষরূপী পশুর হাতে নারীরা হবে শিকার ।
অন্যায়ের আপোষে কেন বার বার সরকার,
কেন গাইতে হয় বিচারে জন্য , জাস্টিস ফর আরজিকর ।।
কেউ প্রতিটা শব্দের পাশে খুজেছে রাজনীতি ,
কেউ বন্দি হয়েছে বার বার কেউবা হয়েছে অসতি ।
কত নারী এই মিথ্যা সমাজের ভয়ে ,  
ঢেকেছে কেউ অসহয় হয়ে ।
কেউ প্রতিদিন নিরজাজিত ,
কেউ কুটিরের কোণে কেন অপমানিত ।

শহরের রাস্তায় হাজার প্রতিবাদীর ভিড়ে ,
হয়ত রয়েছে শয়তান ভরে ভরে ।
দেখানই তো কাজ- কর্ম তো শুধুই সাজ ,
প্রতিবাদের আড়ালে নিজেকে চেনানোর কাজ ।
আমার মহান দেশে মানুষের বেশে ,
কতইনা হিংস্র পশু রয়েছে ছদ্মবেশে ।
তোমার হাতের নাগালে ঘরের পাশে ,
কতইনা পশু অন্যায়ের আপোষে চিৎকার করে হাসে ।
রাস্তায় নামা বিচারের তরে ,
তবে কেন উড়িয়েছ দলীয় পতাকাটারে ।  
সত্যিই কি সকলে কিছু পেয়েছে ঐ মিছিলে !
প্রথমত ঐ নরকিয় পশুকে সরাতে  ?

কি চাও তুমি ?? বিচার নাকি দলীয় পরিবার
বোকা তুমি ভেবেছ যাকে ,
হ্যাঁ আসলেই তাই ‘ঠাণ্ডা ছিল তখন নাকে ।  
হায়রে দেশবাসী……
বেশিরভাগই ছদ্মবেশী ।

কেউ চেঁচিয়ে বলেছে ক্যামেরার সামনে -
উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজিকর ,
পর দিন সকালেই ছড়িয়ে পড়েছে তা -  
ইন্সটাগ্রাম ফেসবুক টুইটার ।
কেন এত সময় কেন এত কথা কাঁটাকাটি -
বিচার চাওয়ার ভাষায় ,
বলতে পারেন আমার সরকার -
অপরাধী তখন নিয়েছিল কতটা সময় ।

বিচারের ভাঙ্গা চোরা কিছু নিয়ম
বদলানো একান্তই প্রয়োজন ,
তবে তা বদলানোর আগে
তোমার শয়তান – মানুষ কে কর না বিভাজন ।
যেখানে প্রতি ঘণ্টায় ৮৬ নারী
যৌন অত্যাচারের শিকার ,
তবুও যে ছদ্মবেশী আমার দেশবাসী
কেন কর মহান মহান চিৎকার ।।
হায়রে দেশবাসী ......
বেশিরভাগই ছদ্মবেশী ।