এইতো ক'দিন আগে
কি নির্মল সবুজ ছিল পাতাগুলি।
চৈত্রের প্রচণ্ড তাপে, মাঘের শীতলতায়
তারা হালকা বাতাসেও দোল খেতো
আর বুঝাতো, আমরা তো আছি ভালো।
বৃক্ষের গোড়ায় জলের বদলে মূত্র দিলেও
তারা আপোষে আগের মতই
দোল খেতে খেতে জানান দিত,
সমস্যা নাই!
আমরা বৃষ্টিতে স্বস্তি নিবো
অরুণ আলোয় স্বপ্ন দেখবো
নিশির তন্দ্রায় হারিয়ে যাবো
যেখানে আছে স্বপ্নালোক, নব্যরূপে ঘর বাঁধবো।
কিন্তু একি! আজকাল হচ্ছে কিসব ধ্যান!
সবুজ সতেজ পাতাগুলি হঠাৎ করেই লাল হলো ক্যান?
স্বপ্নগুলি ধূসর থেকে নীল হলো ক্যান?
ভাদ্রের গগন এবার সাদা না হয়ে কালো হলো ক্যান?
অঙ্কুরিত চারাটাও এবার আর্তনাদে যোগ দিল ক্যান?
আহ! কি অদ্ভুত প্রশ্ন? নাকি করুণ?
জাইলেম টিস্যু জল না পেয়েই কি তবে নিদারুণ?
বৃক্ষের মালি কে আড়াল হতে দেখলাম
জলের বদল সে দিচ্ছে গোড়ায় রক্ত
সকাল-সন্ধ্যা সময় মতো
বৃক্ষ বোধয় তাই রক্তেরই ভক্ত।
মালি বোধয় চেয়েছিল,
যদি শুধু ফলের ভেতর হয় লাল
দেখাবে জনে জনে, দেখো কি করেছি এতকাল!
এ আমার কষ্টের ফল, অন্যের আর্তনাদে গড়া
এ জিনিস পাবে না তুমি বুনো রক্ত ছাড়া।
বুনো রক্ত যদি চাও, যাও রাজপথে
ছিড়ে ফেলো, লুকিয়ে ফেলো, বেশি দোল খাওয়া বিশ্বাসটাকে।
কিন্তু হায়! একি হলো হাল!
মালি দেখে, ফল কোথায়?
পাতাগুলি যে লাল!
একটি নয়, অল্পও নয়, সহস্র-নিযুত-কোটি
সকল পাতায় আজ আগুন লেগেছে
কি করবিরে শেখের বেটি??