সতত পীড়িত-অনলে যাপিত এই ক্ষণজন্মে
ঊষার আলোকে-যাপন স্মরণে বিতৃষ্ণা এই মনে।
অষ্টপ্রহরের অষ্ট রঙের মলিন ক্ষণে
হন্যে হয়ে খুঁজি আমি অলীক স্বপ্নগানে,
এক নব্য সূচনার...
কেবল নব জন্মের আহ্বানে।
বিধি,
নব জন্মে দিও না আমায় উচ্চাকাঙ্খার ভেরী
আকাশ-কুসুম ধ্যান ধরে অবসাদ ভুলের হেরি,
মেকি প্রেমে করোনা তুমি আমার জীবন রুদ্ধ
ভালো থাকার অভিনয়ে, কত আর হবো দগ্ধ?
জীবনপথে লাগাম ছাড়া চলবো আর কত পথ?
বিষাক্ত ধুয়োই উড়বে কত আর আমার জীবন রথ!
যাযাবরের মত ঘুরে ঘুরে করবো আর কত যুদ্ধ?
যৌবন যে যায় ধুকে ধুকে, আকাশ-কুসুমেই মত্ত।
নিদারুণ শৈশব গেলো কোথায়
কোথায় সে অম্লান হাসিমুখ?
ছোট্ট শহরের সেই খোলা মাঠ আর
দিনশেষে মায়ের আঁচলেই অবারিত যত সুখ!
এই কোলাহল,বিস্বাদ যত,অনাকাঙ্খিত সব ছায়া
হবে বিলীন কবে কোথায়, থেকে যায় শত মায়া!
অজস্র স্মৃতি, জমা অভিমান ক্ষণজন্মের তরে
বিধি, এর চেয়ে বরং তুমি আমায় রেখো রুদ্ধ করে...
শৈশবের সেই মায়ের আঁচলেই থাকি যেন আমি পড়ে!