আমি রাতের অন্তরীক্ষে তাকিয়ে দেখি
কত নির্জনতায় নক্ষত্রগুলি জেগে থাকে রাতভর।
আধো ঘুমে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি,
সময়স্রোতে হারিয়ে যায় আমার স্বপ্নঘোর।
তখন আমি নির্জন-একাকী
চাঁদের জ্যোচ্ছনায় ভিজে একাকার হই,
খোলা উঠোনে শুয়ে দেখি রাতের মেঘেদের খেলা,
ঝাড়ুল গাছটার নিচে বুঝি ঝিঝির কোলাহল,
রাতের শীতল বাতাসে শুনি
বিষন্নতার শোরগোল।
মেঘ-সূর্যের খেলায় যখন
চারপাশ শুনশান নিরবতা
আকাশ ভাঙা বৃষ্টিতে ভিজে তখন
বুঝি বৃষ্টির বিষন্নতা।
কর্মযজ্ঞে মানুষ যখন ব্যস্ত,
আমি কোলাহল ছেড়ে আমিত্বে মিশার অভিপ্রায়ে
যাই মেঠোপথের ঐ আমতলায় অথবা পুকুরপাড়ে,
বসে দেখি শান্ত দীঘির জলে বৃক্ষরাজির খেলা,
ক্লান্ত দুপুরে দেখি দু'টা কুকুর শাবক
নির্জনতায় দেয় পাহাড়া বিষন্ন আমার মন।
সন্ধ্যাশেষে, বাড়ির পাশে ঐ বাঁশবনে দেখি
জোনাকি আলোর মেলা,
পত্রপল্লবের ফাঁকে বুঝি
ভয়ঙ্কর একাকী চাঁদটা দেয় উঁকি,
মেঘের ফাঁকে তাকিয়ে থেকে দেখি,
বিষন্ন চাঁদের গায়েও কলঙ্কের দাগ।
তখন বকুলের গন্ধে ফের খুঁজি
সূর্যের সাথে মেঘেদের রাগ।
রাতের নির্জনতায় হঠাৎই শুনি,
নদীতট থেকে আসা বুদ্ধিমামার হাঁক।
ধানপাকা খোলা মাঠে দাড়িয়ে দিই আওয়াজ
যায় যত দূর..
আমি বুঝি, আমার রাতের
এই বিষন্নতাই সুন্দর!