আমি বিগত এক দশক ধরে
পথে পথে ঘুরে
কবিতা সংগ্রহ করি।
তোমার কবিতা, আমার কবিতা,
আমাদের ভালবাসার কবিতা।

ঐ যে রাস্তার মোড়ে
আধাপাকা দাঁড়ির নোংরা এক পাগল দেখেছিলে
তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ও ভাই!
                 ভালবাসা কি জানো?
                      অথবা অনুভূতি?
সে খিলখিল করে হেসে উত্তর দিয়েছিল,
   ভালবাসারা মরে গেছে।
যেদিন গঙ্গার ভাঙ্গনে তার বাড়ি, তার সন্তান
হাজার বছরের দুঃখে ডুবে মারা গেলো
সেদিনই নাকি তার ভালবাসারা আত্মহত্যা করেছে।

এর কিছুদিন পর,
                   পথে হাঁটতে হাঁটতে একদিন
            একটা কাঠগোলাপ গাছের সাথে পরিচয় হয়ে গেল।
            তাকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম
            আচ্ছা! ভালবাসার মানে কি?
                     অথবা প্রেমের ঠিকানা?
     সে বিজ্ঞের মত কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললো,
     ঐ যে আমার ফুলে সাদার মায়ায় পরেছো
                                  এটাই ভালবাসা।
              আর প্রেম! প্রেম হচ্ছে
     সাদার ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লাল অশ্লীলতা,
     আকাঙ্ক্ষা, মনোবাসনা আর ভালবাসার পরিণতি।

            কাঠগোলাপের কথাটা সেদিন
            কেন জানি ঠিক মনে ধরে নি।
তাই একদিন উড়ে চলে গেলাম মেঘেদের কাছে।
তখন সেই মেঘ আমাকে শোনালো মেঘদূতকাব্য
           আর প্রেম-ভালবাসার সুনিপুণ পার্থক্য।
ভালবাসারা নাকি সাদা মেঘে ভেসে বেড়ানো
                           কোনো এক সপ্নঘুড়ি।
    যে নিরন্তর ছুটে চলে আকাশের নীলিমায়
লাগামহীন, সুতোবিহীন, কোনো দূর অজানায়।
     আর প্রেম!
          প্রেম নাকি নাটাই-সুতো হাতে কোনো রঙিন ঘুড়ি।


হাহাহা। কথাটা শুনে খুব হাসি পেলো।
এবার চলে আসলাম নিজের কাছে।
স্বআত্মার খুব গভীরে, নিবিড়ে
                  তাকে প্রশ্ন করলাম।
  সে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকলো।
  এদিকওদিক চিন্তা ভাবনা করেও
          সে কোনো উত্তর দিল নাহ।

     তাই নীরবতাকেই আমি ভালবাসা ভেবে নিলাম।
     আর প্রেম!
           প্রেমকে না'হয় একই সুতায় গেঁথে নিলাম।