আহ্লাদ করে ঘুড়ি বানিয়েছিলাম
উড়বে নীলাকাশ
নাটাই-সুতো হাতে আমি
বইছে সুবাতাস।
সুতো টানে আকাশেতে
দিলেম ঘুড়ি উড়িয়ে
ইচ্ছেমত ঘুরে দেখো
এদিক ওদিক বেড়িয়ে।
এদিক-সেদিক ঘুরে ফিরে
সে আকাশ দেখতে চাইলো
মেঘের সাথে কি যেন গোপন কথা
আমাকেই গোপন রাখলো।
আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
দিলেম সুতো ছিঁড়ে
সুদূরে আমার স্বপ্নঘুড়ি
উড়ে আকাশে উড়ে।
মুক্ত ঘুড়ি মনের মতন
এদিক-ওদিক উড়ায়
রোদ্রেতে তার নাক সিটকানি
অনল দহনে জ্বালায়।
বাতাসেতে তার ভালবাসা
বাতাস তারে উড়ায়,
বৃষ্টিতে তার দারুণ ক্ষোভ
বৃষ্টি তারে ভেজায়।
দেখতে দেখতে ঘুড়ি আমার
কই জানি গেল উড়ে
আকাশেতে জিজ্ঞেস করলাম
ঘুড়িটাই নিলে কেড়ে?
বলল আকাশ, এমন ঘুড়ি
কত যে দেখছি উড়ে
অবাধ্য ঘুড়িই বা কেন
আসে নাটাই-সুতো ছেড়ে!
প্রাণদাতার সুতো ছাড়া সে
কেন আমাতে রয়
অবাধ্য সব ছেলেরই
এমন এমন হয়!
অবাধ্য হলেও ঘুড়ি আমার
খবর পেলে জানিও
আকাশ দেখার স্বপ্ন ছিল
আকাশটা দেখতে দিও।
শুনেছি তুমি অনেক বিশাল
রঙের খেলাতেই থেকো
আকাশ দেখা ঘুড়িকে আমার
নিজেরই করে রেখো।