বৃষ্টি চেয়েছিলাম। অল্প,
           কিংবা নিতান্তই সাধারণ।
      হৃদয়ের ৫৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায়
   পানি চোখে আসার আগেই যে বাষ্প হয়ে যায়।

ছেলেরা হয়তো কাঁদতে জানে না।
সেদিনও কাঁদে নি।
     যখন তেরশ তিপ্পান্ন দিনের স্মৃতি
     মুছে দিয়েছিল কেউ এক নিমিষেই,
সেদিনও কাঁদে নি,
     যখন বটবৃক্ষ বাবাকে দেখেছিল
     সাদা কফিনে মোড়া অবস্তায়।
সে সেদিনও কাঁদে নি...
     যখন পরিবার চালাতে হতো
     টিউশনির টাকায়।


     একটা বৃষ্টি চেয়েছিলাম।
        খুব ছোট্ট একটা বৃষ্টি।
     কেবল একটা ছোট্ট, ঠাণ্ডা হৃদয়ক্ষরণের জন্যে।
      বৃষ্টির বর্ষণে, চোখের বর্ষণ
          একাকার করার জন্যে।

বছর তিনেক পর...
     বৃষ্টি হলো।

আজ বৃষ্টি হলো।
     তেরোতম চাকরির ইন্টারভ্যু শেষে
     একটা ছোট্ট বৃষ্টি হলো।
প্রেমিকা যখন বেকার বলে চলে গিয়েছিল
বটবৃক্ষ বাবা ছেলেকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিল
চাকরির জয়েনিং কনফার্ম হওয়ার পর
          অবশেষে বৃষ্টি হলো।

এই বৃষ্টি,
     দু'কেজি রসগোল্লার রসের বৃষ্টি।
এই বৃষ্টি,
     মায়ের জন্যে কেনা শাড়ির বেগুনি রঙের বৃষ্টি।
এই বৃষ্টি,
     সহস্র রজনী ধরে শুকিয়ে থাকা অশ্রুজলের বৃষ্টি।


এখন, মধ্যদুপুর।
     এক হাতে রসগোল্লা আর অন্য হাতে শাড়ির প্যাকেট
     নিয়ে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটছি।
কি আজব!
       প্রকৃতিতেও আজ মৃদু বাতাসে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।