হে,খরাতাপ চৈত্রের বিদায়ের সম্ভাষিনী,
হে, কালবৈশাখীর সাদর আগমনী,
স্বাগত তোমায়। থাকবে চিরদিনি
যুগান্তর বাঙালির মতান্তর অন্তরে
উদত্য যুবদের পাঞ্জাবী আবৃত শরীরে
বাঙাল রমণীর রঙিন শাড়িতে
বাবার পকেটে,মায়ের রান্নার হাতে
গোলাভরা ধানে কৃষকের হাসিতে।
সম্রাট আকবরের হে অর্থনীতি
পুরো বাঙালির হে মিলন পরিণতি,
আজ উল্লাস তোমায় ঘিরে।পরিচিতি
তোমার, বালকের নাটাই-ঘুড়িতে
কপোত-কপোতীর পার্কের বেঞ্চিতে
রাখালের সুকরুণ সুরের বাশিতে
ছোট্ট ছেলে-মেয়ের নাগরদোলাতে
গ্রাম্য নৌকাবাইচ, বলি-হলি খেলাতে
আর
গ্রাম্যবধুর শাড়ি আঁচলে লুকোনো স্বপ্নে।
ওহে পহেলা বৈশাখ, তোমায় দেখি
কৃষ্ণচূড়ার রঙিন লাল ফুলে ফুলে
অশ্বততলে বটমূলের ঢাক আর ঢোলে
মেঠোপথে নতুন ধানের গন্ধে
বৈশাখ মেলার অবিরাম কোলাহলে
যেখানে, বাঙালি মেতে থাকে সানন্দে।
হে বৈশাখ,
তুমি কি কেবলই বাঙালির হৃদয় স্পন্দন?
নাকি কৃষাণের নির্বাক, নিষ্পলক আন্দোলন?
তুমি বুঝো কি কৃষাণের মুখের হাসি,
শুনো কি নবান্নের গান?
নাকি, কেবলই শুনো তুমি,দেখো তুমি
ঢোল পিটিয়ে তোমার জয়গান!
হে পহেলা বৈশাখ,আছো তুমি
কালবৈশাখীর ঝড়ের মতন,
ধ্বংসস্তুপাকার ফসলের ক্ষেতের মতন,
সোনার ফসলের গন্ধের মতন,
আমকুড়োনি দলের মতন,
বাঙালির আনন্দের ধারার মতন,
থেকো তুমি,তুমি আছো যেমন!
বলি শুধু,সারা বছর ধরে
এমনই আনন্দের জোয়ারে
সর্বশেষে থেকো, পুনঃপুনিক ভালবেসে
বাঙাল কৃষাণের হাসির বেশে!