নিরস্ত্র আমি;— হাতে রাইফেল উঠেছে অপর পক্ষে,
দশদিগন্ত থেকে ছুটে আসা গুলি ভেদ করে আমাকে!
ক্ষতবিক্ষত মুখমণ্ডল আছড়ে প'ড়েছে ধূলোয়,
থেমে গেছে সব রক্ত স্রোতের গতি, নির্মম আঘাতে।

এত হাহাকার ক'রেছে আকাশ অশ্লীল আক্রমণে,
ক্রোধে কম্পিত রাজপথগুলো হ'য়ে গেছে রক্তলাল!
মিথ্যাচাদরে ঢেকে দেয়া হয় সব রক্তের চিহ্ন,—
থেকে যাবে তবু রক্তিম ঘ্রাণ প্রতিটি বায়ুর কণায়!

আমার মায়ের পরনে ওড়না ভিজেছে আমারই রক্তে,
সেই ওড়নাটা হবে সকলের বুকে ধরা নব পতাকা!
আমার মায়ের ক্রন্দনে আজ সিক্ত শহুরে রাস্তা,
সেই রাস্তাতে আত্মপ্রকাশ ক'রবে লক্ষ যোদ্ধা।

কঠোর থাবাতে পরিণত হবে প্রতিটি অশ্রুবিন্দু,
প্রতিরোধ হবে ছুটে আসা যত নির্লজ্জের বুলেট।
বিদ্রোহ হবে;— মানববর্মে যুদ্ধবাজের ভিড়,—
নির্ভয়ে হবে প্রতিশোধগুলো,— হাতিয়ার যাবে থমকে।

যত ঘৃণা, যত অসম যুদ্ধে না দেয়া জবাব জমেছে,
যত সংকটে শ্রেণীকরণের কলঙ্ক বোঝা জমেছে,—
একদিন সব জমা ক্ষোভ হবে প্রচন্ড বিস্ফোরিত,
হত্যাকারীর ক্ষমতাকে দেবে ভীষণ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে!