জানি না, আমাকে এমন সুন্দর করে সৃষ্টি করেছে কে?
জানি না এই মানুষী-সত্তার জন্য, আমি কার কাছে
ঠিক কতখানি ঋণী ; তবে এটুকু নিশ্চিত জানি,
কারো কাছে নিজকে খুবই ঋণী মনে হয় ।
আমি জানি না সেই সত্তাটি কে?
আমার জনক-জননী, নাকি অন্য কেউ?
নাকি কোনো ওহির ভিতর থেকে জন্ম নিয়েছি আমি,
এই অলৌকিক? বুঝতে পারি না, আমার সত্তাজুড়ে
কেন এই ঋণগ্রস্থ বোধের বিস্তার। সংস্কারসূত্রে
আমি কি পেয়েছি তা সামাজিক পরিপার্শ্ব থেকে?
নাকি আমি বন্দী কৃতজ্ঞতা জাগানিয়া
অদেখা কিছুর অচেনা লীলায়?
পরিশোধযোগ্য নয়, এমত ঋণের বোধ বোধে গুঁজে দিয়ে
আমাকে সৃজিলে যদি, হে নিধি, তবে কেন
মহাকর্ষভেদী দৃষ্টি আমাকে দিলে না?
(কাব্যগ্রন্থঃ আনন্দউদ্যান, ১৯৯৫)