শেষ-পর্যন্ত টিকে থাকবে কবিতা।
কেননা, কবিতা হচ্ছে মানুষের দীর্ঘশ্বাস
এবং আত্মার সঙ্গম থেকে উৎসরিত
এক অবিনশ্বর শক্তির প্রকাশ।
ধ্বংসের মুহুর্তে বস্তুর ভিতর থেকে সে
অনায়াসে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।
সে পারে জৈব-প্রকৃতির বৃত্তজাল ভেঙ্গে
জড়-প্রকৃতির নবতর বৃত্তজাল নির্মাণ করতে।
বলপেন থেকে নির্গত হরফসমূহের মতো
সে নিঃশেষিত বলপেনটিকে দেখতে পায়।
পৃথিবী থেকে সে তারকাপুঞ্জকে দেখে ;
পৃথিবীকে দেখার জন্য সে অবস্থান নেয়
মহাশূন্যে, অপার্থিব তারকাপুঞ্জে, নীলিমায়।
সে প্রভুত্ব করে মানুষের মনের উপর,
যে-মন বস্তুনির্ভর গতির যাবতীয় ধারণাকে
পরাভূত করে অগ্রসর হয় কালে, কালান্তরে।
শেষ-পর্যন্ত টিকে থাকবে কবিতা।
কেননা, যা আছে তার সাহায্যেই
সে নির্মাণ করে এমন কিছু, যা নেই।