হয়তো দূরে কেউ কল্পনার বলে
শুক্র-সমাধির স্বপ্ন দেখেছিল,
মোহন যামিনীর মেদুর মেঘনীড়ে
গোপন অভিসারে চরণ রেখেছিল।
হয়তো ছিল তার আমারি মত কিছু
পূর্ণ-মিলনের পথের পিছুটান,
স্বামীর সোহাগের বিবেকী দংশনে
যন্ত্রণার ক্ষতে জাগর অভিমান।
হয়তো আজও তার চুমিত হাতখানি
গোপন অভ্যাসে জানালা খুলে দেয়,
হয়তো আজও তার চপল পদযুগ
চলিতে পথে-পথে না-চলা শিখে নেয়।
যখন ক্লান্তির করুণা বুকে নিয়ে
চাঁদের বোঝা বুকে আকাশ ঢল-ঢল,
তখন নিদ্রার প্রাত্যহিকতায়
কোমল কামনার বিছানা পাতা হলো।
রাতের কালো ঘোড়া পরিল লাল টীপ
কপালে সিঁদুরের মালিনী জ্বলজ্বল,
বক্ষবন্ধনী পরিয়া অলকার
আম্রপালি এসে দাঁড়াল দরজায়।
তবে কি অবসিত রাতের জঙ্ঘায়
নারীর শয্যায় পুরুষ পরাজিত?
**
শুভ্র মণিজাল মগজ মন্থনে
জাগিল ফেনসম মদিরে,
আপন ঊরুযুগে ঝরিল পয়োধারা,
আহা কী অমৃত অপচয়।
ক্লান্ত কটিতটে ক্ষিপ্র কালো ঘোড়া
লুকাল মুখ তার কেশরে,
হ্রস্ব হতে-হতে দীর্ঘ ছায়াখানি
যেনবা পদতলে অবনত।
***