সূদূরের দেশ চীন
চা চিনি তাদেরই শব্দ
ইতিহাস সুপ্রাচীন।
সে দেশেরই ঘটনা
হয়তো অনেকেই জানে
অনেকেরই অজানা।
প্রাতঃরাশ করিতেছিল রাজা
বসিয়া বাগানে গাছের তলে।
চমকপ্রদ পাতা উড়িয়া পড়িল
তাঁর পেয়ালায়, গরম জলে।
সেই জল পানে রাজা মনোমুগ্ধ
হইয়া কহিল, ‘বেশ! বেশ!’
সেদিন হইতে পাতা সহযোগে জল
পান ছড়াইল দেশ বিদেশ।
পরে তপ্ত পানি, চিনি মিশ্রণে
পাহাড়ী পাতার স্বাদ।
এ নেশায় যারে ধরে বসেছে
এক বেলাও যায় না বাদ।
কেউ সাথে দুধ চিনি মেশায়
কেউ তেতুল,মরিচ, মাল্টা।
কেউ আবার শুধুই পান করে
চায়ে জ্বাল করা লাল জলটা।
কোথায় গ্রিন, কোথাও দার্জিলিং
আবার কোথাও ড্রাগন টি।
কত কোম্পানি, কত ব্র্যান্ড আছে
চা-ওয়ালারাও রং বাহারি।
আমার দেশের সিলেটেই আছে
এক কাপে সাতরঙা চা।
তবুও চা বাগানের মজুর, মালি
কভু ন্যায্য মাইনে পায় না।
রাখি না তাদের হক আদায়ে
বিল্পবী হওয়ার সাহস।
চায়ের স্বাদ আস্বাদনে করে
বেড়াই পালন, ‘চা দিবস’।