বিলুপ্ত কোন কিছুর স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতেই
ঢালাও করে পালিত হয় উক্ত দিবস।
যেমন
সুদীর্ঘকাল আগে প্রেমের দায়ে কারাবাসী হওয়া
সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে
পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন ডে কিংবা ভালোবাসা দিবস। তেমনি চিঠি চালাচালির বিলুপ্ত রেওয়াজ কে মনে রাখার জন্যই চিঠি দিবসের আয়োজন।
চিঠি লেখার অভ্যেস নেই, নেই কোন পেন ফ্রেন্ড। যতটুকু লিখেছি শুধু পরীক্ষার খাতায়। তার বাইরে হয়তো কৈশোরের প্রেমে
চকচকে লাল চিঠির বাক্স
স্বচক্ষে দেখা হয় নাই কখনো-
দেখেছি মরচে ধরা লোহার চিঠির বাক্স
বুকে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ভাঙা পোস্ট অফিস।
পোষ্ট কোড এখন শুধুই ব্যবহৃত হয় ঠিকানার ঘরে। মনের কথা কিংবা খুশির বার্তা পৌঁছে দেয়ার কাজ করে না পোষ্ট মাষ্টার কিংবা ডাক হরকরা।
বর্তমান সময়ে
পোস্ট অপিস থেকে বিলিকৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় যে চিঠি, ইংরেজিতে তাকে বলে ‘ডিভোর্স লেটার’। তারপরের অবস্থানে মামলা মোকদ্দমার শমন/নোটিশ।
মন জোড়ানো চিঠির খামেই এখন ভাঙে বুক
আমার ঠিকানায় কেউ কোনদিন চিঠি না লেখুক