জৈষ্ঠ মাসের পাগলা গরম
পরে না কোন বৃষ্টি।
লোডশেডিংয়ে জীবন জুড়ে
বিতিকিৎসার সৃষ্টি।

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোছল করি

রাত জুড়ে ঘুম নাই চোখে
ঘুমাই গিয়া সকালে।
খাওয়া দাওয়ার ঠিক নাই
ঘুম ভাঙে গিয়া বিকালে।

আমি গরমের জ্বালায় মরি  
দিনে ছয়বার গোসল করি

ঘামের পানিতে বিছানা ভিজে
জায়গা বদলে শুইতে হয়।
মনডা চায় রাগে মইরা যাইতে
জয় লোডশেডিংয়ের জয়।

আমি গরমের জ্বালায় মরি  
দিনে ছয়বার গোসল করি

গোসল করতে করতে উইঠা
গেছে আমার শরীরের চামড়া।
কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ
কই বিদ্যুৎ বিল দিলাম আমরা?

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোসল করি

ঘুমের ঘুরে পারি না রুমের
দরজা খুলে দিতে।
রাগ করে বুয়া চলে যায় বাড়ি
এসে প্লেট ভাঙে চ্যাতে।

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোসল করি

বাড়িওয়ালা থাকে ঘুমের ঘুরে
গেটে ঝুলিয়ে তালা।
ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়ে নিয়েছি
কি আনন্দ ওরে শালা।

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোসল করি

মাঝরাতে হোটেল-রেষ্টুরেন্টে
যাই রাতের খাবার খেতে।
ক্যাশ টাকা যদি শেষ হয়ে যায়
যাই বিকাশে পেমেন্ট দিতে।

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোসল করি

ঘুমের ঔষধেও ঘুম আসে না
না শুনলে মিসির আলী।
বসে ভাবি শুধু এ কোন ক্ষতি
আমার জীবনডা খালিবালি।

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোসল করি

ভাল্লাগে না কোন কিছু আর
বদলে গেছে চেহারা বেশ।
সকালে জেগে, জাগতে পারিনা
আমার জীবন হয়ে গেছে শেষ।

আমি গরমের জ্বালায় মরি
দিনে ছয়বার গোসল করি

এই তীব্র গরমে বন্ধু শরিফুল ইসলাম প্রত্যয় এর ব্যাচেলর ফ্ল্যাটের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা গরম গরম কবিতা।