জোৎস্না ঝরা কোন ফাগুনের রাতে পুড়ে যাওয়া মোমের আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে লিখে ফেলি নিজেকে।
হেমলক পান করার পূর্বে আমাদের প্রথম চুম্বন স্মৃতি মনে পড়লে,
আমি কি করবো? স্থগিত রাখবো আত্মহত্যা?
নাকি সে স্মৃতি ভ্রম জেনে চুমু আঁকবো হেমলকের পেয়ালায়?
দ্রুতবেগে আসা ট্রেনের নিচে মাথা রাখার ঠিক আগ
মুহূর্তে যদি মনে পড়ে তোমার মুখ, তোমাকে দেওয়া সেই কথা, ‘আমাকে ছেড়ে যাবে না তো?’
তখন কি করবো?
তোমার প্রতিক্ষায় থেকে করবো শেষ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা?
নিঃসঙ্গ নির্জন বনে ক্ষুধার্ত বাঘের গর্জনেও কাঁপে না হৃদয়। কারণ জানি মৃত্যুই চিরন্তন সত্য, হঠাৎ এসে ঘুচিয়ে দিবে সকল নিঃসঙ্গতা।
কিন্ত ক্ষুধার্ত গোরখাদকের মুখে যখন শুনি দীর্ঘজীবী হও, তখন-
নির্বোধ চ্যাপলিন হয়ে মুখে আনি হাসি। বুকের পাঁজর উপড়ে ফেলে পঁচা গলা হ্রদয় দেখিয়েই বলি ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি।’