ইদানিং প্রভূ বড় চিন্তায় ছিলেন।
আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে ভক্তের দল
তারা তৈরি করছে মস্ত রাজপ্রাসাদ
এখন থেকে সেখানেই থাকতে হবে।
নিষ্প্রাণ প্রভূর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা।
প্রভূ নিরুপায়
ভক্তের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পারেন কেমনে ?
কিন্তু গৃহ প্রবেশে এসে প্রভূ
নিতান্তই বেসামাল অবস্থা ----
এত আলো, এত রোশনাই
তবু অন্ধকাররা একটু দুরেই যেন
আলো নেভার অপেক্ষায়
প্রহর গুণছে।
এত সানাই , কাড়া নাকাড়া, রোশন চৌকি
তবু চারপাশে দন্ডায়মান
খাঁ খাঁ নিস্তব্ধতা।
“আরো আলো, আরো আলো“ গাইতে গাইতে
কে যেন ভিক্ষা চাইতে গেলে
প্রভূ কিছু বলার আগেই
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়
প্রহরীর দল।
নির্ঘন্ট মিলিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হলে
ভিখারি আবার গেয়ে ওঠে,
“মোরে আরো আরো দাও প্রাণ”
তীক্ষ্ম স্বরে ভেসে আসে
সেনাপতির আদেশ, " ফায়ার"
ঝলসে ওঠে একরাশ বন্দুকের নল।
কিন্তু কি আশ্চর্য!
সবাই দেখল রক্তাক্ত পড়ে আছে
প্রভূর প্রাণ হীন দেহ।
মেহের আলী কই ?
মেহের আলী কই ?
সকলে মেহের আলীর খোঁজে বেরিয়ে পড়লে
অনন্তর প্রভূর আত্মা নিজেই
চিৎকার করে ওঠে,
“তফাৎ যাও! সব ঝুঠ হ্যায়। ”