শুয়োরের বাচ্চা আর মানুষের তফাত জানতে হলে
প্রথমে একটা জাহাজ দরকার।
তারপর একটা উত্তাল সমুদ্র,
সমূদ্রে দানবীয় ঝড়...
মোচার খোলার থেকেও উল্টো পাল্টা ভাবে
যখন জাহাজটা আছাড় পেছাড় করবে,
ঠিক তখনই আড়াই হাজার বছর বয়স্ক
দার্শনিক পাইরোকে ডাকলে
দেখবেন তিনি একটা তাঁরই মতো
শান্ত শিষ্ট শুয়োর নিয়ে
জাহাজের ডেকে এসে বসে ভাববেন,
জাহাজটি আদৌ ডুববে কিনা !
সমস্ত যাত্রিরা যখন প্রাণ ভয়ে
শুয়োরের মতো চিৎকার করবে
তখন প্রকৃত শুয়োরটি কোনো চিৎকার না করে
এবং যেহেতু শুয়োর তাই প্রাণায়াম না করে
নিশ্চিন্তে এক বাটি লাপসি খেতে থাকবে।
মানুষ এবং শুয়োরের বাচ্চার তফাত
সাধারণত খুব অপ্রকট হলেও
ক্ষেত্র বিশেষে বড়ই প্রকট
একমাত্র মারণ কোনো ঝড়ই পারে
সেই তফাতকে প্রকটিত করতে
ঝড় থেমে গেলে
পাইরো যখন বিদায় নেবেন
তখন ভালো করে খেয়াল করবেন,
কি বলে গেলেন তিনি,
Doubt everything !