আথেন্সের মিউজিয়ামে
আড়াই হাজার বছর ধরে
বসে বসে সময় নিয়ে
আজও খেলে যায় জলঘড়ি- ক্লেপসিড্রা।

আমাদেরও সবার বুকের ভেতর
তেমনি এক জল ঘড়ি
আজন্ম সময় নিয়ে লোপালুপি খেলে
জল কখনো সুসময় থেকে
গড়িয়ে গড়িয়ে দুঃসময়ের দিকে ধায়
খুনী, ধর্ষক, রাষ্ট্রচাটুকারের দল
নিত্য নতুন নৃত্য প্রদর্শনে মাতে,
মানুষ হায় হায় করতে থাকে
চারিদিকে অন্ধকার নামে
কেউ শুনেও শুনিনা,
বুকের ভিতর জল ঘড়িটায়
মৃদু জলপ্রপাতের আওয়াজ—
ধিক ধিক ধিক !
দুঃসময়ের পাত্র ভরে ওঠে কানায় কানায়
বেদনার অশ্রুপ্রপাতে,
ঠিক তখনই উত্তরপশ্চিম কোণে
ঝলসে ওঠে এক ফোঁটা বিদ্যুৎ
গাছপালা থমকে যায়
পাথরের মতো ভারী হাওয়ায়
থেমে যায় পিশাচের নাচ
বিদ্যুৎ চমকের পিছু পিছু ছুটে আসে
আদিগন্ত কানফাটানো আওয়াজ
বিচার চাই, বিচার চাই ,বিচার চাই!!!
আশ্চর্য সে আওয়জের অনুরণনে
চুর চুর করে ভেঙে পড়ে রাজার প্রাসাদ
ধ্বংস স্তুুপে চাপা পড়ে পিশাচের নাচ।
বুকের জলঘড়ি উল্টে দেয়
অশ্রুপাত্র দুঃখে ভরপুর।
আথেন্স থেকে ভেসে আসে জলপ্রপাতের গান
হয়তো কোনদিনই মানুষের দাবী
পুরো পুরি পূরণ হবার নয়
তাই উল্টে দিয়ে পূর্ণ পাত্র
ক্লেপসিড্রা বলে ওঠে
এখন কিছুদিন বিশ্রাম পান...