এই শীতে গেরস্তের দল সব জানলা দরজা বন্ধ করে
নিদ্রাকাতর হয় যখন, চাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়
তখন বাইরে অশ্বত্থ গাছের মাথায়
সুতো বাঁধা গ্যাস বেলুনের মতো চাঁদ
নিজস্ব জ্যোৎস্নার ট্যাঙ্কারে তরল জ্যোৎস্না ভরে
বাড়ি ঘরদোরে জ্যোৎস্না দিয়ে স্প্রে করে।
ছোট বাড়ি, বড় বাড়ি, পুরোনো বাড়ি, নতুন বাড়ি
সবার ধুলো মুছে গিয়ে
খোলতাই চেহারা বেরিয়ে পড়ে,
তাদের পেটের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা গেরস্তের দল
সেসব টের পায়না কিছুই।
এসব ধোয়া মোছা সারা হলে
বুড়ো অশ্বত্থ ধীরে ধীরে সুতো ছাড়ে
আর গ্যাসবেলুন চাঁদ ক্রমাগত উঁচুতে উঠে
মাঝ আকাশ ছুঁয়ে ফেলে
তখন দীঘির জলে মৃদু নাচতে থাকে ঢেউ
জ্যোৎস্না দিয়ে হাজার চুমকি বসায় চাঁদ।
নারকেল গাছের পাতায় বাচ্চাদের মতো সিলিপ খায় চাঁদ
বনজঙ্গল, নদী নালা, পর্বতচূড়া
খুব নিষ্ঠার সঙ্গে জ্যোৎস্না স্প্রে করতে করতে
দিগন্তের দিকে এগিয়ে যায় চাঁদ ।
বনের গভীরে শিকারি পশুর দল
জল থেকে লাফিয়ে উঠে ঘাই মারা মাছ
পুরনো বাড়ির ছাদে বাতিল এ্যন্টেনারা
রঙ মিসতিরি চাঁদের কীর্তি
তারিয়ে তারিয়ে দেখে
দুয়ার জানলা বন্ধ করে নিদ্রা কাতর গেরস্ত
চাঁদের এসব কীর্তি দেখা মিস করে
গেরস্তালি - সে বড় দুঃখের কাজ বটে।