যারা সস্তা মোটা চালের ভাত খায়
তাদের দুঃখ গুলোও কেমন
মোটা আর সস্তা হয়ে যায়।
পড়শীর সন্তান দূর্ঘটনায় মরে গেলে
তারা সন্তান হারাকে গায়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়,
খুব অনায়াসে মোটা চালের বিস্বাদ অথচ গরম ভাতের
মতো বলে ওঠে, যে গেছে সে তো আর....
তারপর সবাই কাজে চলে যায়।
যারা মিহি দাদঘানি চালের ভাত খায়
তাদের দুঃখগুলো কেমন সরু, লম্বা আর ফিনফিনে।
তাদের কেউ সন্তান হারা হলে
নেপথ্যে রবীন্দ্র সংগীত বাজে
তারা রবীন্দ্রনাথের পুত্র শোকের সঙ্গে
নিজস্ব শোক মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করে।
দুঃখ এভাবে কখনো জেলা হাসপাতাল থেকে
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে,
কখনো বস্তি থেকে বহুতল বাড়ির অন্দরে,
কখনো দূর্বা ঘাস থেকে এ্যসট্রোটার্ফ,
নখের কোণে ময়লা জমা মোটা চামড়ার হাত থেকে
ম্যানিকিওর, পেডিকিওর করা হাতে
শিমুল তুলোর মতো ওড়া উড়ি করে।
দুঃখ কখনো মাটিতে নামিয়ে রাখেনা কেউ।