এক যে ছিল লক্ষী সোনা মেয়ে
মনটা ছিল খাঁটি
সোনার চেয়ে
জন্মদিনের আগের রাতে তার
বাবার কছে পেলো উপহার
সঙ্গে সঙ্গে খুলতে গিয়ে মোড়ক
বাবার কাছে খেলো সে এক ধমক
ততক্ষণে ছিঁড়ে ফেলেছে ফিতে
বাবা বললেন, পারোনা তর সইতে ?
মনের দুঃখে ঘুমিয়ে পড়লো মেয়ে
পরের দিনকে দেখলো উঠে চেয়ে
বাবা ডেকে দিচ্ছে কত চুমো
মা বলছে, আরো একটু ঘুমো
রান্নাঘরে দিদা রাঁধছে পায়েস
ইজি চেয়ারে দাদু করছে আয়েস
মনের মধ্যে কি যে খেয়াল হলো
একটা ছোট বাক্স নিয়ে এল
ভালো করে রঙিন কাগজ মুড়ে
বাবাকে দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল দূরে
খুশিতে বাবা পেয়ে উপহার
সঙ্গে সঙ্গে খুলল মোড়ক তার
একি! এতো একদম ফাঁকা !
বাবা যেন হয়ে গিয়েছে বোকা
ঠোঁট ফুলিয়ে মেয়ে কিই বা বলে
চোখ দুটি তার ভরে গেছে জলে
বাবারা কি পারেনা কিছুই বুঝতে ?
বাক্স ভর্তি চুমু তবু
যায় চকলেট খুঁজতে
বাবা একদিন বুঝলো সবই ঠিকই
তবে তখন বড্ড দেরী
কিছুই নেইকো বাকি
মহামারী নিয়েছে কেড়ে বাবার থেকে মেয়ে
বাবা এখন শুধুই চেয়ে চেয়ে
বাক্স থেকে মেয়ের চুমু রোজ একটা করে
একটি দিনের বাঁচার রসদ
জীবনে দেয় ভরে
(ঋণ : শ্রী আদিত্য সরকার )