নেই এর মধ্যে অবিরত আছে খুঁজতে খুঁজতে
গড়ে তুলি পাঁকের পাহাড়।
ক্লান্ত অবসন্ন একদিন
আছের মধ্যে নেই খুঁজতে গিয়ে
আশ্চর্য সব মণি মাণিক্যের সন্ধান যাই পেয়ে।
অলক্ষ্যে নেই এর দেবতা ওঠেন হেসে
তার কাছে নত জানু বসে
কেঁদে উঠি,আপনি কি মাননীয় ঈশ্বর ?
মূহ্যমান আমার শোকে
দুহাতে সূর্য ঢাকে চোখ,
স্তব্ধ অন্ধকার আকাশে
অসময়ে ঘুম থেকে উঠে
চেয়ে থাকে নক্ষত্রের দল।
অলক্ষ্যে আছে'র দেবতা হেসে উঠলে
আমি তার কলার ধরে
হিড় হিড় করে টেনে এনে বলি,
বল শালা কে তুই ?
সারা জীবন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিলি।
কলার ছাড়িয়ে সযত্নে
আমার গলায় একটা ঘন্টা বেঁধে
গভীর জঙ্গলে একা
রেখে আসেন তিনি।
সেখানে হাজার হাজার
পথ হারানো গরুর সঙ্গে
একা একা ঘুরি।
সমবেত শোকের সাথে
প্রতি পদক্ষেপে ঘন্টা বেজে ওঠে।
কেউ কি শোনে এমন শোকের সঙ্গত ?
শোনে না তো কেউ।