চলতে চলতে পথের পরে হঠাৎ করে দেখা
প্রশ্ন করলাম_কিরে পুলক চিন্তে পারছিস?
ভির্মি চেয়ে দাঁড়িয়ে বললি-তুই সেই ছেলেটা?
হ্যাঁ মনে আছে দেখছি, সেও বলল হেসে-
মনে আছে, বহুদিন দেখা হয়না তোমার সাথে।
জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছিস তবে?
ভালো আছি বটে কিন্তু চিন্তাও মন্দ নারে..,
চাকরীটা তোর হয়েছে সেদিন বিজ্ঞপ্তি তে?
নারে আসেনি শর্ট লিস্টে নাম
হলো না আর আমার বাবার নাম।
চেষ্টা করে দেখিসনি আর অন্য নিয়োগে?
বহু চেষ্টা তো করেছি রে একটা চাকরির খোঁজে,
সেবারই ছিল আমার শেষ সময়
বয়সটা বেড়ে গেছে যোগ্যতার বাইরে;
শুনতে পেয়েছি পরে হাতে গোনা কয়েকটা
টাকা হলে চাকরিটা মিলত অবশেষে।
বাবা দিনমজুর করে,মায়ের শরীরটাও
বেশি ভালো নয় তবুও মনের জোরে
রান্নাটুকু কেবল করে দেয়;
কোথায় পেতাম রে টাকা?
সেবার কলকাতায় গিয়েছি সেও ছিল
এক বন্ধুর কাছে ধার করা!
বাবাকে আর বলব কত, বয়স বেড়ে গেছে
এই তো পঁচাত্তরে দাঁড়ালো; রাত হলেই
কাশি আর জ্বর, ভাবতে হয় নীরন্তর।
আজকাল কী করছিস ভেবে?
বাবার এখন ঔষধ লাগে, কর্ম ক্ষেত্রে
আমি বাড়িতে গিয়ে বাচ্চাদের পড়াই রোজ,
যতটা আসে আয় দিন চলে যায়।
তুই এইদিকে হঠাৎ করে কোথায়?
আমিও যাচ্ছি রে বাবুদের বাসায়
দুইখানা বাচ্চা আছে ছবি আঁকতে ভালোই পারে;
সপ্তাহে আসি চারদিন আঁকা শেখাই ছুটির দিন।
এবারে আসি তবে সময়টা যে গেল বেড়ে
আবার হবে দেখা-কথা হবে পরে
ডাকব একদিন আমাদের ঘরে।
১ম পর্যায়