১
পৃথিবীতে মানুষ সত্যের খোঁজ করে
অথচ সে সুবিধাযুক্ত ধারণাটিই গ্রহণ করে
কারণ সত্যের সঙ্গে সুবিধার লড়াইয়ে
মানুষের ভোটে সুবিধা অনেক এগিয়ে।
২
ছায়ার কোন রূপ নেই, কোন গন্ধ নেই
নেই কোন অবয়ব ,তবুও
ছায়া দেখে মানুষের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়
এসব আমি ভাবি, কারণ আমাকে ভাবায় -
কিছু মানুষ মানুষের ছায়া পৃথিবী থেকে সরাবে বলে
বাতাসে অনবরত বারুদের গন্ধ মেশায়।
৩
জীবনই যদি না থাকে, তবে
জীবনে শিক্ষার প্রয়োজন কী?
এই আদিম সত্য মাথায় রেখেই বুঝি
শিক্ষার চাইতে প্রতিরক্ষা বাজেট অনেক বেশী ।
৪
প্রকৃতিতে কার্য সম্পাদিত হয়
উপযুক্ত কারণগুলোকে সামনে রেখে।
শুধু মানুষকেই দেখি, মানুষ কারণ লেখে বা খোঁজে
মানুষ খুনের পরে ।
৫
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার নির্দেশ প্রকৃতিতে দেয়া আছে
মৃত্যু দিয়ে মৃত্যু প্রতিহত করার কথাও কি লেখা আছে?
প্রশ্ন জাগে
মনে প্রশ্ন জাগে ।
৬
বুকের ওপর হাত রেখে কথা বললেই কি
সে কথা সত্যি হয়ে যায়?
এসব আমায় রোজই ভাবায়।
তবে, যারা কারো বুকের ওপর মাথা রেখে
খুব সহজ করে মিথ্যে বলে
তাদের কে কি ভিনগ্রহী ধরে নেয়া যায়?
৭
সভ্যতা যে অনেকদূর এগিয়ে গেছে
সেটা বেশ ভালো বোঝা যায়
যখন দেখি বাজারে জীবনদায়ী ওষুধ আর শিশুর খাবার তো একদমই নয়
কনডমও নয়
শুধু মদ, সিগারেট আর সিম কার্ড সস্তায় পাওয়া যায়।
৮
আজ মানুষের পৃথিবী তার ক্ষমতা দেখায়
তালিবান, জঙ্গি কিংবা মাওবাদী হানায়।
তার ক্ষমতা আরও স্পষ্ট বোঝা যায়
দেশে দেশে সশস্ত্র সেনা মহড়ায় ।
৯
মানুষের শিশ্ন আজ মানুষকে ভাবায়
খবরের কাগজ খুললেই দেখি ধর্ষণ গণ ধর্ষণ
পথে ঘাটে বাসে ট্রামে রাস্তায় রাস্তায় ।
১০
বোকা হে মানুষ, বোকা ওরা যতসব কবি
চিরকাল ধরে নিয়েছে রাইফেল নয় বড় ওদের লেখনি।
মানুষ তুমি তোমার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যাও
কবিরা শুধু দেখেই গেছে, তোমাকে আটকাতে পারেনি।
১১
তুমি যেদিন জন্মেছ সেদিন থেকেই জয়ী
কেননা, আজ দেখি সব জয়ই রক্তক্ষয়ী।
১২
আমি প্রতিরাতে যত মেয়ে মহিলার সাথে শুয়েছি
তাদের প্রত্যেকের গর্ভজাত কন্যার নাম কবিতা দিয়েছি।
কবিতারা যতদিন আমার কাছে ততদিন ওরা কুমারী ও সতী
আমার ঘরের বাইরে গেলেই, ওদের মায়ের মতোই বারাঙ্গনা - স্বেচ্ছাচারিণী ।