কপাল
ছোটোবেলায় পড়েছিলাম,
কর্ম হোক ভালো
জন্ম হোক যথাতথা;
আদতে তার প্রতিফলন,
তোমরা দেখেছো কতটা?
কোথায় যেনো পড়লাম,
কপালে সুখ লেখা না থাকলে,
তা পাথরে ঠুকে কোনো লাভ নেই।
এতে কপাল যথেষ্টই ফোলে,
কিন্তু ভাগ্য একটুও ফোলে না।
দেখতে তো আমার কপাল
বেশ বড় দেখায়,
জানি, দুশ্চিন্তায় চুল পড়ে,
কপালটা বড় হচ্ছে আরও;
তাতে টাক পড়ারও সম্ভাবনা।
কিন্ত তা যে বড় সৌভাগ্য
বা দূর্ভাগ্যের কপাল,
অমন মনে করার
কোনো কারনই নেই।
আৎকে ওঠোনা যেনো!
নিজের যোগ্যতায় যখন
মানুষ স্হান করতে পারেনা,
তখন কপালের দোষ দেয়।
আদতে কপালকে দোষী করে,
নিজেকে শান্ত্বনার জন্য।
যখন দেখা যায় অযোগ্যরা
ছলে বলে কৌশলে,
সৌভাগ্য বয়ে আনে!
তখন কি বলবে?
যোগ্যতার মাপকাঠি কি
তার ছল চাতুরী?
আরে বাবা!
কজনই পারে অমন কৌশলে
নিরঙ্কুশ কপাল গড়তে!
সে ও তো এক প্রকারের
যথার্থ যোগ্যতা বটে!
ঠিক ঠিক, একদম ঠিক!
তাহলে তো যোগ্যরাই টিকছে!
ডারউইন তো বলেনি যে,
টিকতে হলে সৎ থাকতে হবে!
সাদা-কালো বিভেদ হবে!
তবে,
সবযুগেই অসৎ যোগ্যতায়
টিকে থাকে মানুষ;
উন্নতির সোঁপানও গড়ে ইতিহাস।
তা ; তোমরা কি বলো বন্ধুরা?
যোগ্য হলেই হলো?
সৎ আর অসৎ!
আসলে কপাল ছোট বড় তে
কিছুই যায় আসেনা।
টিকে থাকাটাই হলো
যোগ্যতার মাপকাঠি।।
জীবন তো,
ঝরা বকুলের সুগন্ধ পর্যন্তই।