অনন্ত প্রহর

১.
সন্ধ্যায় প্রদ্বীপ জ্বেলেছি
যেনো কেউ আর
পথ না হারায়।
মুঠো ভরে খুশীর রং
ছড়াই তারায় তারায়।

তারপর?
মেঘের তরী পাঠিয়ে কাটে
অপেক্ষার অনন্ত প্রহর!
সন্ধ্যা গিয়ে রাত ফুরোয়
সারাদিনমান যুগ বছর জুরায়!
ফুরায় এ জীবনের লেনদেন
কোনো আলো কোনো ছায়ায়।

সেকি ভোলা যায়?
শুনতে চাইলে
শোনাতে পারি সে গল্প
মৃত্যুর পরেও আজ
মনে পরে অল্প স্বল্প!

২.
তুমি আছো আপন মহিমায়;
বহির্জগৎ চলে যেন
তোমার করুণায়।

যখন ছিলাম তোমার বুকে
হয়তো তখন ছিলাম সুখে!

শুধু আরেকটি বার
সাধ ছিল তোমাকে দেখার..
তখন তুমি দুর্দমনীয়,
দুর্নিবার গতিতে চঞ্চল,
দলে গেলে সব
নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

তখনই বুঝেছি মৃত্যু আসন্ন,  
যখন করেছো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
টেলিফোনে মিনতি শোনার ভয়ে,
তখন তুমি ফোনই ধরতে না,
পড়তে না কোনো ম্যাসেজ!
দেশান্তরী  অন্ধ-বধির হয়ে
এক সময় জীবন থেকে,
ধীরে ধীরে সরিয়ে দিলে।

শেষ মুহূর্তে,
যখন মিথ্যাচারীতার
কাগজগুলো পেলাম,
ঠিক তখনই
ঢলে পড়লাম মৃত্যুর কোলে।

চরম নিষ্ঠুরতায় জানলেও না..
তুমি আসবে বলে
শেষ পর্যন্ত কত তাকিয়েছি
ফেলে আসা পথ পানে!