আস্তে আস্তে দুপুর ঘনিয়ে আসছে
কুড়ু মিয়া টাকা না পাইছে
বাজার ভাঙ্গার সময় গুনছে।
বউ ব্যাটা, ঘরে অপেক্ষায় মরছে
ক্ষুধার অপেক্ষা সময় না পেরচ্ছে
সপ্তাহের মজুরি পেলেই সব শান্তি
ক্লান্তি শেষে বাজার সদাই নিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দ
কিন্তু মহাজন না মিলছে
কুড়ুর সাথে সাজু, টড়ক,মগড় ও বসে ঘামছে
নিত্য নতুন স্বপ্ন না দেখছে।
মজুরি না পেলে পেট টা যে চলবে না
মুখে গামছা বেঁধে বেশ দূরে দাঁড়িয়ে,
অপেক্ষা মহাজনের
হঠাৎ!
কোত্থেকে ইয়া লাঠি শাই করে পিঠে পড়ে
হুড়মুড় করে সাজু, টড়ক,মগড় গায়েব
দু পয়সার বিড়িটা ফুঁকতে আবার দড়াম
শরীরে ব্যথা নেই
শব্দ হচ্ছে দেদারসে
কুড়ুর চিন্তা বাজার ভাঙ্গার পথে
মহাজনের দেখা না মেলে।
দড়াম করে মাথায় এক বাড়ি
চিৎ হয়ে পড়লো কুড়ু মাটিৎ
বাজার ভাঙ্গার সময় হলো বটে
মহাজনের দেখা না মেলে
গল গল করে কি যেন যাচ্ছে ভেসে
রক্ত?
না বোধ হয় মাছের আধোয়া রক্ত পানি
দূরে বাজার ভাঙ্গার শব্দ
মহাজনের দেখা না মেলে
আজ বুঝি বউ ব্যাটা দের না খাওয়া কপালে
ঝিম ঝিম করে মাথাটা চমকে ওঠে
ধড়াস করে গা ঝামটে ওঠে
পাশ দিয়ে মাছের আধোয়া রক্ত পানি বাড়ে
চোখ গুলো শান্তিতে বুজে আসে
বউ ব্যাটা রা আজ বুঝি না খেয়েই রবে!