বাজান ও বাজান,,
কত স্বপ্ন দেখছি,
এমন কইরা বাপেরে ডাকুম
কিন্তু আমি ইচ্ছা হইলেও বাপেরে বাপ কইয়া ডাকতে পারি না।
মনো সায় দেয় না!
নিজের বাপেরেও বাপ কইয়া ডাকতে পারি না,
আর যে বাপে পালছে তারেও বাপ কইয়া ডাকতে পারি না।
ছুডুবেলায় নিজের জন্মদাতা বাপে যখন
ছুঁড়ে ফেলায় দিছে,
তখন এক যুবক আইসা বাপের দায়িত্ব নিছে
আমারে পালছে। বড় করছে। লেখাপড়া করাইছে।
অথচ, তারেও আমি বাপ কইয়া ডাকতে পারি না।
মাঝেমইধ্যে মন চায়, বাজান কইয়া ডাকতে
কিন্তু কেন জানি" আমি আটকাইয়া যাই।
যে বাপে আমারে পাইলা-তুইলা বড় করছে
সে বাপে আমার অযত্ন হইবো দেইখা এহনো বিয়া করে নাই।
অথচ, আমার এই বাপের নামে সমাজের মানুষ
আমার মায়ের সাথে মিলাইয়া কত কিছুই না কইলো।
এহনো কান পাতলে শোনা যায় কতসব বিচ্ছিরি কথা...
এগুলান শুনলে আমার বুকের ভিতর আগুন জ্বলে,
কয়েক'শ কথার পাহাড় মাথার মইধ্যে দাঁড়াইয়া যায়
এইগুলার লাইগা আমি এহনো আমার এই বাপেরে
বাপ ডাকতে গিয়াও ডাকি না
খালি মনের ভিত্তে এই কথাগুলান ঘুরে।
আমার বড্ড কান্দন আহে,
চোখের জল ঝর্ণার লাহান ঝরে,
কানতে কানতে একটা সময় চোখ জিমাইয়া আসে
আর আমার হুশ থাকে না।
তারপরেও মনের ইচ্ছে মনের মইধ্যা দাবাইয়া রাখি,
কিন্তু আমার বড্ড ইচ্ছে করে "বাজান" কইয়া ডাকতে...