নাভিপদ্মের ভুজদ্বয় কেটেকুটে
যোনির শেষপ্রান্তে উরু নিতম্ব
ভঙ্গুরের কোণের দিকে এগিয়ে
রেণু-রঞ্জিত তনুমন্থনলব্ধ মধুভাণ্ড।
মহাকালের রজঃশীলায় ডিম্বানুরা
ঝিনুকের রাস্তায় উদ্দাম সাগরে বেঁচে থাকে
রেণু-রঞ্জিত পরাগায়নে
মৌতাতে চন্দনের গন্ধে
হৃদয়ের চাহতায় চক্রধারী পতঙ্গরা দম্ভে
চরাচরে খুঁজে বের করে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
স্নিগ্ধ সময়ের এক অন্তহীন উপাখ্যানে
জলধারায় জরায়ুর খুনসুটি ধুয়ে
ফুল গাছে মৌমাছি মধু খেলে
শুক্রানুরা সুখপাখী হয়ে যোনির খনিগর্ভে
পদ্মবেদিতে রথ চেপে ঢেলে দেয় গর্ভ।
সেই উরু জঙ্ঘার লালগোলাপের রক্তে
কাহিনী কাঁথার গোপন ভাজে
হিসাব মেলাতে মাঝরাতে চুপিসাড়ে
বেগবতী নদীতে ডিঙি ভাসায়
গর্ব ভরে নেচে, যন্ত্রণায় কেঁদে
গর্ভের ঝরঝর রূপরসে পুষ্প-পুটে
রেণু হয়ে ঝরে পড়ে মধুরাত্রি।