সভ্যতার খাঁচায় গুঁড়িয়ে
নীরবে নিঃশেষ করেছি ধরিত্রী
ভীতিজনক প্রগতির সরণি বেয়ে
হেঁটেছি স্বাধীনতার মুখোশের ভিড়ে
জীর্ণরথের নিচে বিদীর্ণ, বিপর্যস্ত প্রকৃতি
ইমারতের শৈলচূড়া আকাশে তুলি।
ক্ষমতার সভ্যতায় মতদ্বন্ধের অনন্তে
উত্তরসূরির পর্ববিভাজনের দিগন্তে
প্র্রকৃতির রূপান্তরে কষাঘাত করে
সঞ্চিত গিরিনিঃসৃত জলধারার ঔদ্ধত্য বেয়ে
তুলে এনেছি অকাতরে লোকালয়ে।
সেই মহালুন্ঠনের দৃশ্য অবলোকনে
অনৈতিক দায়িত্বের অনুশাসনে
আমরা প্রচণ্ড নির্দয় প্রকৃতির প্রতি
আগামী প্রজন্মের সমৃদ্ধির প্রতি।
প্রকৃতি মঙ্গলার্থক ঔদ্ধত্য বিসর্জন দিয়ে
নৈবেদ্যর স্নিগ্ধতা অর্জনের আস্বাদনে
পায়ের নিচে পড়ে থাকে স্বেচ্ছায় নীরবে
জুতোর তলায় মাড়িয়ে মনঃপ্রফুল্ল করি।
প্রকৃতি বংশবদ ও স্বপ্নবৎ সুন্দর
শ্বাসরুদ্ধ বিষাদে একটা চিত্তের দম্ভে
সে তীব্র্র যন্ত্রণায় পায়ের নিচ থেকে
নৈপুণ্যে সরিয়ে নেবে মুক্ত বিহঙ্গে
তেজময় রূপে ঝড় হয়ে উঠবে বলয়ে
জীবনপথের অবরুদ্ধ মুক্তির ছায়াটা
বেগবতী নদীতে ফেলে
অভ্রভেদী রথে শিখরমালায় উড়ে যাবে
আমাদের উত্তুঙ্গ দম্ভটা গ্রাস করবে।