সূবর্ণলতা কে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভাবলাম,
একবার গিয়ে কেমন আছে জিগ্যেস করে আসি।
মধ্যরাতের আকাশে মেঘাচ্ছন্ন নিভু নিভু তারকার মতো
জীবন ঝিমিয়ে পড়েছে আমার।
নিতান্ত বেঁচে থাকার তাগিদে আটপৌরে জীবনটাকে
বিলিয়ে দিতে চেয়েছিলাম সূবর্ণলতার কাছে।
সেও অনেক কাল আগের কথা।
তখন বিসুভিয়াসের লার্ভা ছিলো কঠিন পদার্থের ন্যায়।
ছিলো না ষড়ঋতুর প্রকারভেদ।
কিংবা শুকতারা, সন্ধ্যাতারা নামকরণ।


আমি সূবর্ণলতার পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
ক্ষীণ কণ্ঠস্বরে ডাকতে ইচ্ছে হলো,
"সুলতা, আমি শুভ্র আকাশ "।
না, আমার কণ্ঠে কোনো ধ্বনি উচ্চারিত হলো না।

নিকশ অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ,
আমি দেখছি আমার মৃত্যুরেখা আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে।
শুকনো পাতার মতো ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে হায়াত।
আমার আফসোস, আমি জানতে পারলাম না
সূবর্ণলতা কেমন আছে।
সূবর্ণলতাও জানতে পারলো না,
হায়াতের শেষ প্রান্তে আমি তার পিছনে দাঁড়িয়ে
তার ঘ্রাণ নিয়েছি।
আহ, চিরচেনা সে ঘ্রাণ।


কবিতা : সূবর্ণলতা
কলমে: মো পারভেজ হুসেন
সময় : ১৭ই মার্চ ২০২০, রাত : ২.৩০