বাবার শরীরের ঘাম যদি আমার কাছে চোখের জল মনে না হয়,  তবে সন্তান হিসাবে আমি ব্যার্থ।



এইসব আকাশের গল্প লেখা হবে,
লেখা হবে নিজেকে নিয়ে মহাকাব্য।



দূর থেকে দেখা সমস্ত কিছুই সুন্দর,
কাছে গেলে মানুষের মতো মরীচিকা।



আমি আমাতে সুখ খুঁজিনি কখনো
তবে তোমাতে খুঁজেছি বারবার,
আমি আহত হয়েছি প্রতি পদে পদে
এবার কিছু নিয়ম পাল্টানো দরকার।



তারপর আমাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।
আমার মন খারাপের সময় বাড়ছে,
একা থাকার ইচ্ছে বাড়ছে।

আচ্ছা তাহলে আমি কি আবারো নিশাচর হয়ে যাবো?
জানো শুভ্র আকাশের মনটা প্রচন্ড খারাপ আজকে।



এইসব রাত কেটে যাক
কেটে যাক প্রিয় মানুষকে মনে পড়ার স্মৃতি।
অতঃপর একাকিত্ব সুন্দর।



অতঃপর
সমস্ত মন খারাপে তার মুখটা ওষুধের মতো কাজ করে।



তবুও এইসব রাত ফুরায় না,
চোখে ভর করে দুঃস্বপ্নেরা জেগে থাকে,
আমি হারিয়ে যায় নিকষ অন্ধকারে।
জানি ফেরা হবে না আর,
নিশাচরের কখনো ফেরা হয় না।



জীবন সুন্দর।
দেখো, শুনো আর পাশ কাটিয়ে চলে যাও।



সবকিছু বলা হয় না, লুকিয়ে রাখি নিজের মাঝেই।
বলবো সেদিন,
যেদিন মনে হবে পৌঁছে গেছি সফলতার দ্বারপ্রান্তেই।



নীলপরি,
এরপর কখনো চিঠি লিখেছো কিংবা ডায়েরি।
আমি এখনো আগের মতো চিঠি আর ডায়েরিটা লেখি রোজ।



স্বচ্ছতা, নির্মলতা, বিশ্বাস,
অতঃপর
কান্না, পাগলামি,  অনুশোচনা।



তুমি সুখ চেয়ে ছিলে,
আমি বুঝলাম তুমি বিচ্ছেদ চাও।



বললে," ভালোবাসি"।
আমি বললাম," কতদিনের জন্য?"
তুমি উত্তর না দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলে।
আমি বুঝলাম তুমি আবরণপ্রিয়।



সে বলেছিলো ম্যাচুরিটি আসার পর
এইসব আবেগ ভালোবাসা কিছুই থাকবে না।
এরপর আমার কখনো ম্যাচিউর হওয়া হয়নি।



একটু স্বস্তির জন্যই অজানা এক অস্বস্তিতে নিজেকে আবদ্ধ করি।
অতঃপর নিজেকে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে ফেলি।



একজোড়া জুতো খুবই পছন্দ হলো।
সাথে থাকা বাবার পায়ের দিকে তাকালাম।



কিছু চাওয়ার পূর্ণতা নেই,
কিছু পূর্ণতার আনন্দ নেই,
কিছু আনন্দের অনুভূতি নেই,
আর কিছু অনুভূতি কখনো কাউকে
বুঝানো যায় না
রয়ে যায় অবহেলার অগোচরে।



সময়ে ভেলায় চড়ে সময়ে কথক,
মানুষই তো মরিচীকা আলো ফুটুক।



আচ্ছা নীলপরি,
তোমার কথা মনে হলে
এমন তীব্র মন পুড়ে কেন?



কি হবে তাকিয়ে থেকে তার পানে বলো,
সময় হলে নদীই বলে সমুদ্রে চলো।



নিজেকেই চেনা শেষ হয়নি
মানুষ চিনবো কি করে?



মানুষ মুলত মরে যায় ম্যাচুরিটি আসার পরপরই।



আমার কবিতায় তোমাকে নিয়ে লেখা হবে,
"স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক"।



বহমান সময়ের স্রোতে সবাই বদলে যায়
কিংবা হারিয়ে যায়,
কেউবা অবহেলায় কেউবা অহংকারে।



তুমি ছেড়ে যাওয়ার পর,
নতুন করে আর বাঁচতে ইচ্ছে করে নি।
নিষ্প্রাণ দেহ নিয়ে পৃথিবীর পথে
এখনো তোমাকে খুঁজে বেড়ায়।
আমি পথের পাশে মিলিয়ে যাওয়া কবর থেকে বলছি।



তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম বলেই
নিজেকে সঁপে দিয়েছিলাম।
অথচ তুমি আমাকে পেয়ে
নিজেকে ভেবেছো হিরে আর আমাকে মাটি।



চিরচেনা এই শহর ছেড়ে একদিন হারিয়ে যাবো,
দূরে কোথাও একাকিত্মে ডুবিয়ে রাখবো নিজেকে।
স্বার্থপর মানুষেরা ভালো থাকুক,
ভালো থাকুক মানুষের মিথ্যে ভালোবাসায়।



সহস্র চেয়েছি তারে বুঝেনি তো কভু,
নদীও হারায় স্রোত সাগর আছে তবু।



বারবার পছন্দের খাবারের পাশ দিয়ে হেঁটে চলে আসা হয়।



এইসব কষ্ট ফুরিয়ে যাক
ফুরিয়ে যাক এক বুক হতাশায় কেটে যাওয়া  রাত্রিগুলো
কিংবা কোনো কিছুর অপূর্ণতা।



অতঃপর ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়
প্রমাণ করে সেই যে হারিয়েছে,
আমি আর কারো মাঝে ভালোবাসা খুঁজিনি কখনো



চরমভাবে ঠকে যাওয়ার পর প্রেমিকের মনে যে রোগ বাসা বাঁধে তার নাম চিরকুমার।



একটা শূন্যতার বিস্তারে হেরে গেছি আমি।
সভ্যতার সাথে পথ চলতে না পেরে,
মেসোপোটেমিয়ার মতো নিশানা হারিয়ে আজও
পৃথিবীর ধূলিকণায় মিশে আছি।
অথচ তবুও মানুষ আমাকে অপরাধী বানায়।
এই অসীম মহাশূন্যে আমি এক
মিলিয়ে যাওয়া আদিম দীর্ঘশ্বাস।
যার কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।



একদিন তোমাদের কাছ থেকে চলে যাবো,
চলে যাবো সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে।
যেদিন তীব্র নিঃসঙ্গতায় পুড়ে যাবে হৃদয়,
সেদিন হারাবো আমি।
তোমরাও হারাবে একজন বন্ধু,
যে এখন তোমাদের পাশে আছে অনুপ্রেরণা ও সাহায্যকারী হিসাবে।
তাই তো তোমাদের কাছ থেকে হারানোর পূর্বে
তোমাদের হৃদয়ে বন্ধুত্বের মায়া লাগিয়ে দিচ্ছি।
শুভ্র আকাশ একাকীত্ব ভালোবাসে।



অতঃপর তারা মনে করে আমি কিছুই বুঝিনা,
কিছুই জানি না।
অথচ আমি চুপ থাকি।



পথ চলতে গিয়ে রাস্তার পাশের ফুল গাছে ফুটে থাকা ফুলের উপর
বসে থাকা প্রজাপতিকে দাবিয়ে রাখতে পারি।
কুয়াশাভেজা ভোরে ঘাসের উপর জমে থাকা
শিশির বিন্দুগুলোকে দাবিয়ে রাখতে পারি।
দাবিয়ে রাখতে পারি মেঘাচ্ছন্ন শুভ্র আকাশকে।
অথচ তবুও তোমাকেই শুধু দাবিয়ে রাখতে পারলাম না।



তুমি আমাকে ক্ষনিকের জন্য ভালেবাসতে পেরেছিলে বলেই বোধহয়,
আমি তোমাকে আজন্মকাল আমার কবিতায় স্থান দিতে পেরেছি।



দিন হও কিংবা রাত হও,
বছর শেষে কিন্তু দুজনেই সমান থাকে।



বারবার মরতেছি। তবুও মৃত্যু আসে না।



বাজারে গিয়ে একটা ইলিশ মাছের দাম জিগ্যেস করলে দোকানদান বলল,
"আপনি কি বড় সরকারি কোনো অফিসার "।



তারপর একদিন প্রচন্ড দুঃখবোধ জেগে উঠবে তোমার।
প্রতিটি রাত্রে  দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে বলবে,
"সে আমাকে প্রচন্ডভাবে চেয়েছিলো"।



এই হোক, সেই হোক, আরও হোক কিছু,
মানুষ শুধুই মোহ , ছুটো না এর পিছু।



অতঃপর
কবিতারা ছন্দ হারায়।
মনে পড়ে, মন পুড়ে।
আচ্ছা, এইসবের ওষুধ হয় কোনো?
পৃথিবীর পথে আজো সে উত্তর খুঁজে বেড়ায়।
আমি ব্যার্থ পথিক,
আমি ব্যার্থ প্রেমিক।



তারে চেয়েছি বলেই আজ এত অপূর্ণতা।
তবে কি আমি ভুল মানুষকে চেয়েছি?  



নদী তার পথ ঘুরে সাগরে মেশে,
পাখিও হারায় দিক সময় অসময়,
ভালোবাসা যদি তুমি পেতে চাও খুব
মায়ের আঁচল তলে পাবে নিশ্চয়।



পথ চলতে বের হয়েও পথের দেখা পাইনা।
যতটুকু পাই ততটুকুই ঝাপসা।



আমি আমৃত্যু একজন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তবে জীবনযুদ্ধের।



তুমি যদি ভুলে যাও ভুলে যেতে পারো
সবকিছু ভুলে না কারো কারো হৃদয়,
দিনশেষে ফিরে যাবে অতীতের কাছে
হয়তো এটাই হলো প্রকৃতির বিজয়।



এই যে কথা বলার এত তৃষ্ণা,
তুমি চাইলে আমি বেঁচে যেতে পারি
এই তৃষ্ণা থেকে।
তুমি কি চাও কেউ একজন
তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাক
কথা বলতে না পারার যন্ত্রণায়?



বাবার ধমককে আগে প্রচন্ড ভয় পাইতাম।
দৌড়ে দূরে গিয়ে রাগ দেখাতাম।

এখন বড় হয়ে গেছি।
কেউ আমাকে ধমক দিয়ে কথা বললে
মনে মনে বলি, 'আজ বাবা থাকলে
এভাবে ধমক দিতে পারতে না।"



তারপর ক্ষয়ে গেছে সময়ের রথ,
আমিও ভুলেছি তাকে, ভুলেছি সে পথ।
মানুষ হয়ে জন্মিয়েও মানুষ হতে চাই,
জন্মালেই মানুষ না কেউ প্রমাণ এটাই।



অবশেষে আমি অনেক ভেবে বুঝেছি,
তোমার সাথে প্রথম কথা বলার মুহূর্তগুলো
জন্মদিনের অনুভূতির চেয়েও আনন্দের ছিলো।  



তুমি আমাকে মনে করো না
অথচ আমি ততটা প্রতীক্ষায় থাকি,
যতটা প্রতীক্ষায় গোলাপ হাতে প্রেমিক ;
অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে প্রেমিকার।



তুমি শুধু একবার বলেছিলে, "ভালোবাসি "।
এরপর আমি তোমাকে প্রচন্ডরকম ভালোবেসে ফেলি।
অতঃপর তুমি ঘৃণা করি বলে ছেড়ে চলে গেলে।
কিন্তু আমি আজও তোমাকে ঘৃণা করতে পারলাম না।



আমার মা আমাকে বলতো,
তুই মানুষকে ততটুকুই ভালোবাসবি, যতটুকু ভালোবাসার পর কেউ ছেড়ে গেলেও কষ্ট না হয়।
বড় হয়ে বুঝতে পারছি, সত্যি সত্যিই মা ছাড়া সবাই ছেড়ে যায়।



সব ভুলে যেতে পারি তোমাকে ছাড়া,
পথ ভুলে হতে পারি পাগলপারা।
দিনশেষে তোমা মাঝে সুখ খুঁজে পাই,
মা পাখি যেমন খুশি ফিরে নিজের বাসায়।



মানুষের কাছে কখনো এক ইচ্ছে দুইবারের বেশি চেয়ো না।
যে তোমাকে গুরুত্ব দেয়,
সে প্রথমবারই তোমার ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করবে।



তুমি ভালোবাসো নি বলে,
আমি এখনো প্রেমিক হতে পারিনি।



এখনো সন্ধ্যা নামেনি,
তুমি যদি চাও তবে আমরা আবার গোধূলিটা রাঙাতে পারি।



অবশেষে নিজেকে চিনেছি,
রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পাগলের দিকে চেয়ে,
আমি যেন তারই সুন্দর অতীত।



নীলপরি
তুমি একবার ফেরার ইঙ্গিত দাও শুধু,
আমি একটা জীবন অপেক্ষায় থাকবো।
সবশেষেও বলবো, তুমি আমার শখের নারী,
তোমাকে ভালোবাসি আমি।



তোমার ব্যাস্ত সময়ের থেকে,
প্রথম ও শেষ মেসেজ হিসাবে শুভরাত্রি
বলার সময়টুকু দিও।



অথচ আমি হারিয়েছি নিজেকে,
তুমি বললে আমি অপরাধী,
অবশেষে হয়েছি নিশাচর।



নিশাচর প্রাণীর মতো জেগে থাকা হয়,
তোমাকে মনে পড়ে, মনে করি,
তবুও কথা হয়না।
যেন ফুরিয়েছে কথারাও।
অথচ আমি অপেক্ষমান আবারো কথা বলার জন্য।



একজন মানুষের উচিত তার সময়ের
সবচেয়ে বেশি নিজের জন্যই ব্যয় করা।



আমি মহাকালের অতলে তলিয়ে যেতে থাকা একজন,
যে তার নিজস্বতা খুঁজে পেতে মরিয়া।



আমি সব্যসাচী হয়ে ছিলাম
কিন্তু তুমি ঐন্দ্রিলা হতে পারো নি।



সময় চেয়েছি,
সে বলল, আজ আর নয়।
তারপর অনেকদিন পার হলো,
সময় ফুরোই নি।



নিজেকে দেখার মতো কোনো চোখ
অবশিষ্ট নেই আমার।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় আশা।
পৃথিবীর উৎসবে নিজেকে ধার দিলাম মৃত্যু পর্যন্ত।



তুমি তোমাকে ভালোবাসতে বললে,
আমি তোমাকে ভালোবাসা দিলাম।
এতেও তোমার মন ভরলো না।
তুমি আমার চোখের জল নিয়ে,
তবেই অন্যের হৃদয়ে চললে।



কেউ কেউ দুধ দিয়ে কালসাপ পুষে
কিন্তু আমি মানুষ পুষেছি।



অনেক দিন পর একবার তুমি আমি সামনাসামনি হলাম।
দেখা হলো অনিচ্ছাকৃতভাবে।
আমি জানি আমাকে দেখে তুমি ভিতর থেকে পুড়তে থাকবে,
কারণ ততদিনে এইটুকু বুঝে গেছে যে,
আমার মতো করে কেউ তোমাকে আর কখনোই ভালোবাসে না।
সেদিন কি তুমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে?
বলো, তুমি কি নিজেকে হাসাতে পারবে?



জীবনে কখনো টাইম ট্রাবলের সুযোগ পেলে,
আমার অতীতে ফিরে গিয়ে কিছু মানুষের পরিচয় মুছে দিতাম।
কেননা তারা না থাকলে
এইসব দুঃসহ আর্তনাদ সৃষ্টি হতো না।



জীবনের ব্যাস্ততা ছাড়িয়ে যেদিন স্বাধীন হলাম,
সেদিনই মৃত্যুর স্রোতে গা ভাসাতে হলো।



ভোটে দাড়িয়ে নিজের জনপ্রিয়তা পরখ করলাম।
আসলে টাকায় সব।



তুমি আসলে, ভালোবাসলে।
হৃদয়ের বাসিন্দা হলে।
তারপর মৃত্যুদন্ড দিয়ে চলে গেলে।
হয়তো জানতেই পারলে না,
তুমি ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে
আমি বেচেঁও কবরের বাসিন্দা।



শুকনো পাতার মতো মর্মরে আমাদের জীবন।
সবুজ হারিয়ে সোনালি আসার মতো ফুরিয়ে যায় হায়াত।



রাতে ঘুম ভাঙলে আকাশের দিকে তাকালাম।
নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম।
মুচকি হাসলাম।
পৃথিবী বাকিটা বুঝে গেছে।



বিধ্বস্ত  নগরী পূর্ণতা জানে না।



হঠাৎ একদিন আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাবে তুমি।
হয়তো জানবে না,
গোরস্তানের যে ফটক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছো,
সেখানেই আমার বসবাস।



আমি চাইনা তবুও তারা আমাকে গুরুত্ব দেই,
অথচ আমি যে একজনের কাছে গুরুত্ব চেয়ে যাই,
শুধু সেইই গুরুত্ব দেয় না।

শুভ্র আকাশ, যাকে তুমি চেয়ে যাও, সে হয়তো অন্য কাউকে চেয়ে যাচ্ছে।

বস্তুত, অপূর্ণতা রয়ে যাবে আজন্মকাল।



- তুমি কি জানো পৃথিবীতে সবচেয়ে বেহায়ার কাজ কোনটি?
- কোনটি?
- কারো কাছ থেকে বারবার গুরুত্ব চাওয়া।



তোমাকে আলো ফিরিয়ে দিতে,
পৃথিবী তার এক প্রান্তকে অন্ধকারে নিয়ে যায়।



তোমার ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য,
আমার ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়েছি।



তোমার আমার পথ দুইটা।
শুধু ভুল করে ইংরেজি এক্স অক্ষরের মতো
একবার মিলিত হয়ে ছিলাম।
এখন তুমি না থাকলেও
তোমার স্মৃতিগুলো পিছনে রয়ে গেছে।



তুমি ভাবলে আমি অপ্রেমিক।
অথচ এটা জানলে না,
কাঁটা আছে জেনেও গোলাপে হাত বাড়িয়ে ছিলাম আমি।



জীবন নিয়ে আমাদের দুজনের অনেক ভাবনা ছিলো,
এখন জীবন পড়ে আছে,
শুধু তুমি নেই।



তোমার চোখের পানি মুছে দেওয়ার জন্য আমি এখনো অপেক্ষা করি,
যেমন অপেক্ষা করে মায়ের হাতে মার খেতে চাওয়া
বয়সে নুয়ে পড়া সন্তান।



গোলাপ দেখলে, কাঁটা দেখলে না।



একদিন সব হবে, শুধু তুমিই হবে না।
তুমিই রবে না।



কোনো একদিন একবারের জন্য হলেও
আমার অসহায় চাহনি তোমাকে কাঁদাবে।



বসন্ত বারবার ফিরে,
শুধু কথা দেওয়া মানুষগুলো একবারের জন্য হলেও ফিরে না।
অথচ আমরা বসন্তের চেয়েও
তাদের জন্য বেশি অপেক্ষা করি



তুমি ভালোবাসতে চাইলে,
কিন্তু আমি তো জানি,
অর্থের কাছে তোমার ভালোবাসা
গণতন্ত্রের মতো।



তুমি যে আমার না,
তোমাকে ভালোবাসার পর এটাই সর্বপ্রথম জানতে পেরেছি।



তুমি আমাকে চাও, ফের রাজপুত্র।
অথচ আমি রাজপুত্র না, কবি।
কিন্তু কবিদের তুমি পছন্দ করো না।



আমি ভালোবাসা চেয়েছি,
অথচ তুমি প্রেম দিয়ে চলে গেছো।



শেষ ট্রেনের অপেক্ষায় আছি।
তুমি বলেছিলে, সেই ট্রেনের শেষ বগিতে
ফিরলেও ফিরতে পারো।



কাঁটাতারে আটকা পড়ে মন দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।



তুমি ব এর নিচে বিন্দুর মতো।
না থাকলে আকৃতি একই থাকে,
বাকি সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।



পথহারা পথিকও একদিন গন্তব্য ফিরে পায়। হয়তো পুরোনো নতুবা নতুন গন্তব্য।