আমি কবি,
আমি এসেছি বাংলা সাহিত্যে নবচেতনা নিয়ে।
আমি লিখে যায় একে একে সব
যখনি সেটা মন চাই আমার।
লিখি মানবতার ইতিহাস, কেমন পাল্টে যাচ্ছে।
লিখি স্বাধীনতার কবিতা,
যার জন্য দিতে হয়েছে ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্ত।
যে স্বাধীনতা পেয়েছি দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে।
লিখি অত্যাচারী হায়েনাদের বর্বরতার বিরুদ্ধে।
সেইসব নরপিচাস, কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে,
সারা বাংলাকে বানাতে চাই নিজেদের রাজত্ব।
আমি লিখি প্রতিবাদী হওয়ার সোচ্ছার জয়গান।
লিখি পল্লিমায়ের সেই হাসিমুখে লেগে থাকা
প্রকৃতির ছোঁয়া।
নক্ষত্রদের মেঘের আড়ালে লুকোচুরি খেলা,
সেখান থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়ে ভালোবাসার সুঘ্রাণ।
লিখি কিশোর বেলি ফুল, কৃষ্ণচূড়া গুঁজে দেয়
তার পছন্দের কিশোরীর চুলে খোঁপায়।
আমি মনপ্রান দিয়ে ভালোবাসি শব্দকে,
ভালো লাগে শব্দকে নিজের মতো করে সাজাতে।
আমি নিজেকে খুঁজে পাই শব্দের মাঝে,
খুঁজে পাই শত সহস্র কবিতার প্রতিটি পঙক্তিমালায়। আমি ভালোবাসি কবিতা প্রেমিদের ভালোবাসি কবিতার বইকে,
যেখানে একসাথে বাস করে শব্দরা
একই ঘরে মিলেমিশে।
আমি লিখি তপ্ত দুপুরে বালকদের সাঁতার কাটা,
হৈ-চৈ সুরে জাগিয়ে তোলা নদীর প্রানকে।
লিখি ধুলোমাখা শরীর নিয়ে মায়ের কাছে বকুনি খাওয়া
ছোট্ট বাচ্ছাটির কান্নার শব্দগুলোকে।
আমি লিখতে এসেছি গোধুলী বিকেলে
সূর্যের লালরঙা সেই হাসিটা।
যার দীপ্ত আভায় আলোকিত এই ধরণী।
কিংবা আকাশের এক কোণাতে মিটমিট করে জ্বলা
সুখতারাটির জীবন কাহিনী লিখে যায়,
কি সে পায় আর কি তার অপূর্ণই রয়ে যায়।
আমি চাঁদের হাসিটাকে বড্ড ভালোবাসি,
ফুটিয়ে তুলতে চাই নিজ কবিতার মাঝে।
ফুলে ফুলে মধু পান করে প্রজাপতি, মৌমাছি
আমি মুগ্ধ হয়েছি তাদের ছোঁয়ায়।
আমি শব্দকে নিয়ে মেতে উঠি জীবনের খেলায়
এটাই তো আমার ইচ্ছে।
আমি এসেছি বাংলা সাহিত্যে
সাজিয়ে দিয়ে যাবো অজস্র শব্দকে,
কেননা আমি যে একজন কবি।
বই : বদলেছে পৃথিবী ; এগুচ্ছে অন্যদিকে ( অপ্রকাশিত)