সূবর্ণলতা আমাকে ফোন দিয়ে বলল,
"শুভ্র আকাশ,কালকে বের হবো। "
আমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললাম,"কখন বের হবে?"
সে বলল, "বিকেলে"৷
খানিকটা আনন্দিত কণ্ঠে বললাম,"ঠিক আছে।"
সমস্ত ব্যস্ততা দূরে ঠেলে অপেক্ষায় রইলাম সারা বিকেল।
শরৎচন্দ্রের দেবদাসে ডুবে রইলাম কিছু সময়৷
কিছু সময় ডুবে রইলাম জীবনানন্দের বনলতা সেনে।
বিকেলের আভা পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে,
সূর্যের তীব্রতা কমে ঢুলে পড়েছে পশ্চিমে।
না, সুলতা আমাকে ফোন দেয় নি।
আমি একরাশ আশাহত হয়ে বেরিয়ে এলাম রুম থেকে।
পকেটের কলমটা উঁকি দিচ্ছে রাস্তার দিকে।
বড়মাঠ পেরিয়ে এগিয়ে গেলাম কোচিংয়ের দিকে।
হালকা বাতাসে লাল হয়ে যাওয়া কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো
দোল খাচ্ছে মাঠের চারপাশে।
অতঃপর কোনো এক পরিচিত দোকান থেকে
সূবর্ণলতাকে বের হতে দেখলাম।
কাঁধে ব্যাগ, চিরচেনা মুখ, সামনাসামনি দেখা।
ব্যাস্ততা দেখিয়ে হাসিমুখে পিছনে ফেলে চলে এলাম আমি।
খানিক বাদে মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখলাম যুগলকে।
আমি মুচকি হাসলাম।
নাহ, এই হাসি আনন্দের না।
হতে পারে এই হাসি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলার।
কবিতা : এই হাসি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলার
কলমে : মো পারভেজ হুসেন
অ্যালবাম : সূবর্ণলতা