রাস্তার নিয়নবাতি গুলো তাকিয়ে থাকে হলুদাভ চোখে,
       জন্ডিস রোগীর মতো।
গাল বেয়ে নেমে আসা জল লেগে থাকে ঠোঁটে,
       লুকোনো পুরোনো ক্ষত?
অন্ধগলিতে বারবনিতার মতো আলুথালু পড়ে থাকা,
       আমাদের উদ্বায়ী সুখ।
অচ্ছুত তবু আড়চোখে আলগোছে দেখা,
      ক্ষয়ে যাওয়া প্রেমিকার মুখ।

নোংরা ফুটপাতে জমে ওঠা প্রাগৈতিহাসিক খেলা,
      ভিখু-পাঁচীর প্রণয়গীতি।
চিৎকার,শীৎকার আর হারহিম শীতল হাতের মেলা,
      অন্ধকারে প্রেমের আরতি?
এভাবেই রাতভর কতশত গল্প লেখা হয়,
      নিয়নবাতির নিচে।
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়,
    নির্লিপ্ত নিরাসক্ত চোখে।

একদিন তোমার কথার তোড়ে ছিঁড়ে গ্যাছে সম্পর্কের নাড়ি,
    ভেসে গ্যাছি রক্তে অথৈ।
এখন উষ্ণ হৃৎপিণ্ডেও হাত রেখে বলি,
   এরপর আমি যেন নিয়নবাতি হই।