কেন দিলো তারা ভাষার জন্য প্রাণ?
কেনই বা করলো তারা এত কষ্ট?
আজ এসে তোমরা আধুনিক সমাজ
তাদের বিসর্জনকে করে দিলে নষ্ট।
বইয়ে পাতা খুলো,পড়ে দেখো কাহিনি
রাস্তায় ছিলো তারা খেয়েছে গুলি বুকে,
একটা ভাষাকে মুক্ত করেছে তারা
নিজ মায়ের মুখে কথা বলার সুখে।
কিন্ত, ছিঃ বাঙালি কি করছো তোমরা,
এই ভাবেই কি দিচ্ছো প্রাণের প্রতিদান?
আজ শহীদদের সাথে বাংলা ভাষাকে
এমন ভাবে করতেছো করুন অপমান?
এই দিনে তো তোমার কথা ছিলো ভিন্ন
বাংলা বলার কথা ছিলো প্রাণ খুলে,
কিন্ত ছিঃ ছিঃ বাঙালির কু-সন্তানরা
আজ হিন্দি গানে নাচছো দুইহাত তুলে।
আজ শহীদ মিনারকে ডেকে সাজিয়েছো
দিচ্ছো কোমরের কি উরাধুরা নাচ,
তোমাদের জন্মের যথেষ্ঠ সন্দেহ আমার
নাই সুবুদ্ধির এক ফোঁটা আচ।
এই কারনেই রফিক, জাব্বার, বরকতরা
দিয়েছিলো তাদের মহামূল্যবান প্রাণ?
যাতে করে তোমরা বাঙালিরা মিলে
করতে পারো তাদের এমন নিকৃষ্ট অপমান।
ঘৃণা লাগে ঘৃণা লাগে তাকাতে আমার
তোমরা দেখতে অবিকল মানুষের মত,
কিন্ত নাই মানুষের একটুও বৈশিষ্ট্য কোন
সব পশুত্ব ভরে আছে ভেতরে যত।
আজ বাঙালির নামে কু-বঙালি তোমরা
এই দিনেও ভাষাকে আঘাত করলা অহরহ,
আজ তোমাদের অসদাচরণ দেখছে জাতি
এটাই তো এখন একুশের বিরহ।
হে রহমান তুমি মাফ করো শহীদদের
দাও জাহান্নাম থেকে শুদ্ধি,
আর, হেদায়েত দাও এই কু-বাঙালিদের
দাও তাদের একটু ভালো সুবুদ্ধি।