"মা, আমার লাগছে ক্ষুদা
কিছু দাও না মা একটু খাই,
একটু সবুর বাবা পেটের ভিতর
চলো খাবার খুজতে যাই।
তুমি কোথায় খাবার পাবে মা?
এখানে তো খাবার কোথাও নাই,
আহা পেটের ভিতর তুমি চিন্তা করোনা
সামনে গ্রাম,আমাদের মানুষ বন্ধু আছে তাই।"
এভাবেই চললো দুটি নিরিহ প্রাণী তারা
খাবারের সন্ধানে ওই গ্রামের দিকে,
কে জানতো তাদের কপালে দুর্ভাগ্য লিখা
তাদের সব পরিকল্পনা হয়ে যাবে ফিকে।
নির্ভয়ে গেলো দুই জন তারা
গ্রামের মানুষের দিকে হেটে হেটে,
মানুষেরা বুঝতে পারলো ক্ষুদার্থ তারা
তাই আনারস দিলো তাদের খেতে।
নিরিহ দুটি কি জানতো বলো,
এই আনারস খেয়ে মুখ হবে তাবা তাবা? (ধ্বংস)
কিন্তু, হাতি তো বাচ্চাকে বলেছিলো ঠিকই
"দেখো মানুষ কি সুন্দর মনুষ্যত্বের, বাবা"।
পরক্ষণেই মা' টির ভুল ভেঙ্গে গেলো
আনারসটি যখন গেলো যখন পেটে।
এসব আনারসতো মানুষই দিতে পারে
যা খাওয়ার পর মুখে যায় ফেটে।
মুখে জ্বালা পেটে জ্বালা,
পেটের ভিতর বাচ্চাটিও তো পুড়ছে,
অসহায় মা'টি কষ্টের জ্বালায় হায়
এইদিক ওইদিক কিভাবে ছুটছে।
তৎক্ষনাৎ ভাবলো মা' টি যাই পানিতে নামি
যেন আমার বাচ্চাটার যন্ত্রণা একটু কমে,
সে ভেবেই নিরিহ প্রাণীটি গেলো,
দৌড়ে এক জঙ্গলের পুকুরে নেমে।
তখনই মনুষ্যত্বের ডেড়া মানুষগুলো
গেলো আলগা দরদে হাতিটিকে বাচাবে,
কিন্তু হাতিটি তো বুঝে গেছে,সেই ঠকলো
যেই বিশ্বাস করলো মানুষকে এই ভবে।
মানুষ নামক প্রাণীকে অবিশ্বাস করে
মা' টি মৃত্যুরই জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলো,
ক্ষুদার্থ মা-বাচ্চাটি মানুষের হাসির খোরাক হয়ে
মানুষের জন্য, ধুকে ধুকে মরলো।
(এভাবে কোন অসহায় নিরিহ প্রাণীকে মানুস হয়ে, এমন আপ্যায়ন না করাই মনুষ্যত্বের পরিচয়)