আজন্ম থেকে তোমাকে দেখে আসছি ।
শুনেছি, তুমিই নাকি সেই, যে -
পৃথিবী সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে ঝরে পড়ছো অবিরাম ।
মায়াবিনী, বলোতো কোন মায়াবলে তুমি অধিকার করেছ
আষাঢ়-শ্রাবনের মন ?
কিসের নেশায় সাদা বকের স্নাপিত দুপুরটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
বর্ষামঙ্গলের মদির যৌবন ?
আচ্ছা তুমি বলোতো, কিসের এত অভিমান তোমার ?
নিঃশব্দের জলবাষ্প কোন আবেগ আলাপনের আগুনে
দহন করে অবাধ্য আলিঙ্গন ?
কোন বিরহে তাদের করে তুলছো বিরহী ?
তুমি কি শুনতে পাও না ?
আষাঢ়ি অন্ধকারের বোবা চিৎকার !
তুমি কি বুঝতে পারো না,
বিরহ বালিশে মুখ গুঁজে এক শাপলা গন্ধের শ্রাবন
ভিজে চলে চিরন্তন ?
তুমি সাক্ষী রাধা-কৃষ্ণের অমলিন প্রেমকথার ।
তবু তুমি পাওনি খোঁজ, -
চিলেকোঠার ভেজা শালিখের খয়েরি ডানায় লিখে রাখা
কয়েক জন্মের কদমস্মৃতির বর্ষগাথার ।
দুষ্যন্তপ্রেমে মগ্না শকুন্তলা কোন দোষে হলো
দুখিনী কণ্ব-পালিতা কন্যা ?
তুমিই বলো, কোন পাপে ভারতশ্রেষ্ঠ ভরতের আশ্রয় হলো
ভেজা মাটির মাদুর ঘরে ?
তুমি তো এটাও জানো না জাদুগরী;
কোন জাদুর স্পর্শে তুমি হয়ে উঠেছ উদাসীনা ।
তুমি জানো না কিছুই, তুমি বোঝো না কিছুই;
তুমি পারো না কিছুই -
তবু কেন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাও চলে !
হৃদয় বিদীর্ণ করে ?