সকাল হতে খুব বেশী বাকী নেই আর;
পুবের আকাশ সবে লাল হতে শুরু করেছে,
এক পশলা ঠান্ডা বাতাস এসে জুড়িয়ে গেলো উদোম গা;
একটু আগে থেমে যাওয়া বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়ছে-
জানালায় রেলিং ধরে।
অদ্ভুত এক সময় রাত ও দিনের মাঝামাঝি।
বারান্দায় পা গুটিয়ে বসে আছি;
ভাবছি তুমি পাশে আছো,
পরম আদরে বিলি কেটে দিচ্ছো মাথায়!
আচ্ছা শীতল বাতাস কি তোমারও হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে,
তুমিও কি ভাবছ-
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে আমার পাশে বসে আছো?
বৃষ্টি শেষের নীরবতা, বাতাসে হিম শীতল স্পর্শ
আর অদ্ভুত এক আলো আঁধারীর জগতের ঘোরে
আমি হারিয়ে যাবো,
চিরতরে হারিয়ে যাবো;
যাবে কি আমার সাথে?
কৃষ্ণ গহ্বরের ভীষণ অন্ধকার,
অথবা সূর্যের তীব্র আলোর দিকে
ধরণী প্রসব বেদনায় কাঁপছে;
একটি নতুন দিনের জন্ম হবে,
সেই সাথে জন্ম হবে-
কিছু মানুষের নতুন কিছু স্বপ্নের।
সময়টা বড্ড বেঁয়াড়া
ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়,
এই লাল এই নীল এই আবার কাঁচা হলুদ রঙ!
আমি ভাবছি তুমি আমার হাতটি ধরে বসে আছো।
তুমি কি জানো, চুলে লুকিয়ে রাখা তোমার ঘুমন্ত মুখ দেখে
'আরো হাজার জন্ম কৃষ্ণ হয়ে জন্ম নিতে ইচ্ছে করে'!
বুক ফেটে অস্পুট স্বরে বেরিয়ে আসছে
'ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমাকে, অনেক ভালোবাসি'!
একটি নতুন সকালের জন্ম হলো,
জন্ম হলো একটি কবিতার।
মুয়াজ্জিনের মিষ্টি মধুর সুর ভেসে এলো;
কবি তার এলোমেলো চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে,
তাকিয়ে আছে সদ্য ভূমিষ্ট কবিতার দিকে
'ভালোবাসি কবিতা তোকে অনেক ভালোবাসি'।