এমন যদি হতো
চশমা ছাড়া আমি চোখে দেখি না,
কোনো কিছুই দেখি না,
ঝাপসা দেখি দু'চোখে;
তোমাকেও লাগে একটা অবয়ব।
তুষার মাখা বাঁশ ফুল
নগ্ন-চূর্ণ চাঁদের মত,
সবুজ পাহাড় চূড়া জলরং-এ ঘষে ঘষে আঁকা শিল্পীর ছবি,
প্রতিফলিত কেঁপে কেঁপে উঠা অস্তগামী সূর্য।
চশমায় আর দেখবো না পৃথিবী,
তোমাকে যে দেখি না আর।
এ মুখে ও মুখে তোমার ছায়া খুঁজে মরি,
ঠিক তেমন একটি অবয়ব।
দেখব না আর কালো কেশে উঠা
ছোট বড় ঢেউ ঢেউ খেলা,
দমকা বাতাসে উড়ে আসা ঘাসফুল।
দেখব না তোমার মন ভালো করে দেওয়া হাসি,
দেখব না প্রিয় মুখ দাঁড়িয়ে উদাস দুপুরে
ক্লান্ত পায়ে হাত-পা-নখ,
নয়ত চোখে বাঁকা করে এঁকে দেওয়া কাজল,
বড় ঝাপসা লাগে রক্তিম গোলাপের মতো কান ফুল,
ঝাপসা লাগে সেই তোমাকে-
যে তুমি নারী নও, নও কিশোরী
তরুণী বা প্রৌড়ও নও,
রক্ত-মাংস, বায়ুজল বা আগুনও নও;
তুমি শরতের আকাশের মতো
জোছনার নিশীথ-দেবদারু
অথবা জলের মতো মনপুরা দ্বীপ।