বালিকা ও বধূরা কমলা লেবুর মত খোসা ছড়িয়ে বসে আছে
সময়টা তখন গোধুলী দক্ষিন দুয়ারী বাড়ির ছাদের ঈশান কোণে ।
সূর্য তার বিছিয়ে দেয়া আলোক জাল ক্রমশ গুটিয়ে নিচ্ছে
আকাশ ছেয়ে গেছে আঁধারে , কৃষ্ণ গহ্বরে উবে যায় ধরনী ।
বধূরা দিবস সমাপ্তির আয়োজনে , বালিকাদের মন ভাল নেই,
ছাই রঙ আকাশ যত তার গায়ে মাখে বালিকাদের দীর্ঘশ্বাস তত বাতাস ভারী হয়
আরাম কেদারায় মেলে দিয়ে গা খানি খুঁজে বেড়ায় জোছনা ।
প্রহর পেরিয়ে ঢেউ তুলে জোছনা,
চিনির শিরার মত গাঢ় চাঁদের আলো চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে
কেও গায়ে মাখে কেওবা হা করে গিলে খায় ।
জোনাকিরা ও ম্যাজিক দেখায় টিমটিমাটিম আলোর ম্যাজিক ।
রাত বাড়ে , সাথে বাড়ে জোছনার উচ্ছল ঢেউ ।
কান পেতে শুনি ঝিরি ঝিরি বাতাস আর ঝিঁ ঝিঁ দের আনাগোনা
টুনটুনি মা পথ চেয়ে আছে তাই এক হাঁড়ি জোছনা নিয়ে বাড়ি ফিরছে মঁয়রা ।
জোছনা দিয়ে মতিহার বানিয়ে পথ হাঁটছে পথিক ,
তার পথ চেয়ে বসে আছে নব বধূ ।
ধীরলয়ে চাঁদ উঠে যাচ্ছে আকশে, শূন্য দৃষ্টিতে কবিরা চেয়ে আছে
দূরে বহু দূরে অনন্ত নক্ষত্রের ওপারে ।
হ্ব্রদয়টা কেবলি শূন্য মনে হয় ,
কেবলি মনে হয় এই তো ,
এই তো সময় ভালবাসার ।