যদি বছর পঁচিশ পর,
কাঁচাপাকা চুলে আসে বয়সের ছাপ,
বাঁ পাজড়ের নীচে থাকা প্রেস মেকারে
ধুকে ধুকে চলে হৃদস্পন্ধন,
সেদিনও তোমায় ভালবেসে যাবো।

পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে যদি তুমি
পেছন ফিরে চাও, পাশাপাশি হাটার কোন মানুষ না পাও!
দেখবে সেদিনও তোমার হাত
ধরার জন্য আমি হাত বাড়িয়ে আছি।
যদি আরো বছর দশ পর
চামড়ার ভাজে ভাজে জেগে উঠে বয়সের ছাপ,
শরীরের ভার বইতে না পারে বৃদ্ধ পা,
তোমার হাতের লাঠি হয়ে
সেদিনও ভালবেসে যাবো।


একশত বিশ শতাব্দীর স্মৃতির আস্তরণে
যদি ধূলো জমে যায়!
মোটা ফ্রেমের চশমার নীচে ক্ষীন দৃষ্টির চোখ দুটো যদি
ছলছলিয়ে উঠে! রুমাল হাতে মুছে দেবার জন্য
সেদিনও দেখবে আমি পাশে বসে আছি।

যদি বছর পঁচিশ পর
জীবনের স্বাদ অবসাদে একলা রাতে,
গুরুমগুরুম বজ্রপাতে ভয় হয়!
স্মৃতিরা যদি তীব্র ঝড় তোলে তোমার হৃদয় আঙিনায়!
সেদিনও দেখবে প্রশস্ত বুক নিয়ে আমি তোমারি প্রতীক্ষায়।।

যদি আরো বছর কুড়ি পর
স্মৃতির আস্তরণে ঢাকা বহমান নদীটার
প্রবাহ থমকে যায়!
যদি ধোয়া ধোয়া ফেলে আসা স্মৃতিগুলো
ক্ষনে ক্ষণে নাড়া দেয় ছিড়ে যাওয়া নিউরনে,
সেদিনও তোমায় ভালবেসে যাবো।

নীলকান্ত©
৬ মে ২০২৪ ইং