কিছুইতো রহিলো না, রহিলে না তুমি
আমার অন্তরে করিয়াছি রচনা যে শুদ্ধ ভূমি
কালে-মহাকালে অদৃশ্য দৃশ্যমান অনন্তের কোলে
অদেখা ক্ষণে সকলি মিশিয়া গেলো হেলাদোলে।

সকল স্বপ্ন-আশা আভাসে প্রভাসে উঠেছিলো ভেসে
পল্লব কল্লোলে হিল্লোল হিন্দোলে মধুরিত হেসে
প্রভাত পরশনে জেগেছিলো পুষ্প বিমল স্নিগ্ধ চিতে
বায়ূ ভরে পবন দিয়েছিলো দোলা মধুর গীত-প্রীতে।

ভেবেছিলাম তবে সারা দিন সবে থাকিবে এমনি
কখন এলো মেঘ, ছায়া তার কাটিলো না, নিষ্ঠুর তর্জনী
উঠিলো গর্জিয়া, আর নাহি সময়, সবে পড়িল ঝরে;
নিয়ে গেলো সবটুকু যাহাকিছু ছিলো অন্তর পূর্ণ করে।