শান্তির ছায়াজল পেরিয়ে,
                       যে পথের গভীরে ডুবতে চেয়েছিলাম;
আমরা কি জানতাম,
                       সেই নিষিদ্ধ নিগমের ঠিকানা?
কাঁটাতারজাত আদর্শ লাগামের ফাঁস—
            বাঁধতে কি পেরেছিল,
                          মনুষত্বরূপী সত্যের সাতকাহন?
একটিও কথাহীন শব্দের,
                                অনুনাদ রক্ষিত ছিল কি?

তবে, আজ কেন?
       কেনই বা আজ,
নিশ্বাসবন্ধনী এঁটে,
                  অবয়বরূপী ছয়াপথ ধরে হেঁটে,
সেই মানবতার খোঁজে লিন হয়ে থাকা!
সভ্যতার ঝোপের ভিতর,
                  ক্ষতবিক্ষত দৃষ্টির নির্ভুলে,
তাঁর কঙ্কালসার গুল্মের চারা খোঁজা!

মাদকিয় ঘ্রাণ পিপাসিত ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতায়,
            ধরা কি পড়েছে,
      তাঁর অলীক পুষ্প-সৌরভ?


তাহলে বলো,
     কোন্ সে পথ ধরে হেঁটে চলেছো আবার?
                                       কেনই বা চলেছো হেঁটে?
                  কোথায়ই বা যেতে চাও?

যে শহরে, কবরের আলো চুরি করে গৃহস্থের ললাট পড়তে হয়;
               সেথায় কি সৌজন্যের দাবি রাখা চলে?
যেই তরুণ তৃপ্তির অন্তর হতে,
               চুঁইয়ে পড়ে নরমাংসের ঘ্রাণ;
        তাদের কি আর মোচ্ছবি বিলাসিতা মানায়!

তবে, আমারই বা কীসের দায়?
       কেনই বা এতো শব্দ অপচয়?

সকলেরই জানা,
              বিংশের রাষ্ট্রক্ষমতা অনেক বেশি।
     আমার অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রুগ্ন কলম—
               সে কি আর প্রসব বেদন সইতে পারে!

সেই মধ্যবিত্ত ভয়টুকু নিয়ে, ফের ফিরে আসি—
               ডুব দিয়ে শান্তির ছয়াজলে।
ভোরবেলা ভরে যেথায়,
পরব্রহ্ম আঁধার বিলায়,
              শুকিয়ে যাওয়া তারার মফস্বলে!