নিভে আসে শহরের আলো,
থেমে যায় অজুহাতের কোলাহল।
আকাশের গায়ে আলকাতরার চাদর।
মৃতভর্তৃকার কৃষ্ণকায় ললাটে,
পূর্ণিমার তিলক চন্দন।
জ্বলে ওঠে শতাব্দী প্রাচীন,
কোটি কোটি অক্লান্ত চোখের কোটর।
রাতের বুকে ফুটে ওঠে, গুটি বসন্তের লক্ষণ!
শুধু আমারই চোখে ঘুম নেই!
রাতের পর রাত, প্রহরের পর প্রহর,
ক্লান্তি; শুধু ক্লান্তি।
স্নায়ুস্পর্শ যোগানে ব্যর্থ দেহের
মজ্জা, পেশি, অস্থি জুড়ে—
অজ্ঞাত স্নায়বিক অশান্তি।
চারিদিকে কত গতিপথ;
সবাই ছুটে যায় আণবিক আকর্ষণে।
আমি শুধু বলহীন, ঋণহীন
এক উষ্ণ দেহের মড়া!
আমি প্রলাপ ভালোবাসি, শুধু জ্বরের অন্বেষণে।
আলো জ্বলে ওঠে আকাশের চিলেঘরে।
গুটিরা মিলিয়ে যায়।
আকাশ সুস্থ হয়।
রাতেরও ঘুম পায়।
পথিকের তরে অপেক্ষারত,
নিয়নের দলও ক্লান্ত হয়।
তারাও ঘুমোতে যায়।
তবু আমারই চোখে ঘুম নেই।
রাতের পর রাত, প্রহরের পর প্রহর,
ক্লান্তি; শুধুই ক্লান্তি।
সকলের কোটর থেকে খসে পড়ে,
নীড় ভাঙা নৈতিকতা।
শুধু আমারই চোখে লেগে থাকে—
পচনশীল, শাশ্বতিক ভ্রান্তি!