কাজলের নদী প্রসবিত হলো, প্রসূতির চোখ হতে।
পাহাড়িয়া ভূমি উতরিয়ে পরে মিশলো লোহিত স্রোতে।
হাজার বারণ তুচ্ছ কারণে
রমণী রে তুই শুনলি নারে।
ও নারী তুই, স্বেচ্ছাচারী
গান গেয়ে গেলি বারংবারে!
উঁচু শির তোর খোয়ালো শিরা, সমাজের চোখে ধুলো ঝেড়ে।
অবারিত তোর দুয়ার কপাট, আচম্বিতেই নড়ে চড়ে!

ও নেতা তুমি মন্ত্রী হলে, নাগরিকতার মন্ত্রবলে।
মাসোহারা নিয়ে মসিহা-র সাজে, ভক্ত ঠকাও নতুন ছলে।
ভক্তরে শোন ভক্তি ভালো,
পোলারয়েডের অন্তরালে।
ভানুর অণুতে লাগলে আগুন,
লুকাবি কোথায় শেকল তুলে?
তাইতো রে ভাই চিন্তা বড়ই, ঘাটতি-রা ভাগ নিলো ভাতের।
পক্ষপাতি রে সইতে কি তুই পারবি আঘাত পক্ষাঘাতের!

হে পুঁজিবাদ পুঁজির পাহাড়, রেখেছো কোথায় গর্তে গুজি?
পাজি-র ব্যাটারে পা ঝেড়ে তুই, গুনিস না আর নকল পাঁজি!
দিন কাটে দিন গুনে গুনে প্রায়
কাঙ্ক্ষিত শুভদিনের আশায়।
যখের ওই ধন করে নিবারণ
ঘুণেদের ক্ষিদা দিবানিশি!
শুদ্র-কে বড়ো ক্ষুদ্র ভেবে, কেড়ে খাস তাঁর রুটি-রুজি।
সেই প্রতিবাদে শব্দের কিছু কারিগর আমি কোথা খুঁজি?

কবি গো তোমার নামের বাহার। স্মারক পদকে স্বর্ণস্তূপ!
পক্ষপাতের ভাতঘুমে তবু মেদবাহী তাঁর কলম
চুপ!
কবি হাটে যান বড়ো ঠাঁটে-বাটে,
হাঁড়ি ভেঙে যান কলমের ঘায়ে।
তীক্ষ্ণ কলমে অঙ্গুলি কাটে,
এই ভয়ে মুখে দেন কুলুপ!
ধারের খাতায় ধারালো পাতায়, বেচে খান কবি বিদ্রোহী মুখ।
মেটাফর ভুলে, রং তুলি তুলে; দেখি সং সাজা গিরগিটি রূপ!

ওরে নাস্তিক আস্তিন তুলে, গালাগালি তুই দিস ভালো।
তোর ওই ভোঁতা কলমেই দেখি, ধর্মের রূপ কত কালো!
দুষিবার তরে দুষবো কী তোরে,
গুরু পুষেছিস দুধ-কলা যোগে,
ভ্রান্তির পথে ক্রান্তির খোঁজে,
ক্যানিবালিজম তোর সোপান!
কুৎসার শ্লোকে ধর্ম চিনলি, সিকেয় তুললি গীতা-কোরান।
ক্ষুধিত খোদার গ্রাস কেড়ে বড়ো বাড়ছে কি তোর মান-ঈমান?

এই নারীবাদী এইদিকে শোন, কানে কানে বলি তোর কথা।
লিখে দিলে পরে কলমের হুলে ভুগবি কিন্তু বিষ ব্যথা!
সুবিধাটুকু তো চিনলি ভালো,
সমানাধিকারী শ্লোগান তুলে।
সমদায়ভারে কাঁধ ভাঙে তোর
অজুহাতে কষা বর্গমূলে!
একজোড়া পায়ে একটা শরীর চললে কিসের ঢাক-নিনাদ।
দশভুজা ধারি দূর্গারই কাছে শিখে নিস নারীমাত্রীবাদ!

এরপরে জানি প্রকাশকেরাও অধমেরে দেবে নির্বাসন।
কি করি দাদা, কলমের রোগ; সত্যের পথে তাঁর চলন!
তস্করি লাউ ফললো না বলে
নাম লেখা গেলো বিরোধীর দলে
অক্ষরহীন লস্করি চালে,
ওরা বলে আমি লিখি প্রলাপ!
দেরি কেন তবে হেঁকে দাও এবে ঘুষের ভুষিতে পোষা কোটাল।
সত্যের জয় এই দেশে নয়, সতী যেথা জ্বলে সর্বকাল!

লেখা হলো খুব, ক্ষুধিত উদরে পোহাবো কেমনে গভীর রাত।
কইবো না কিছু, লবণের সাথে দাও না একটু গরম ভাত।
স্বভাবের দোষে এইবেলা শেষে বিকে গেলে দৃঢ় মানব-জাত।
তবু মনে রেখো ‘কলম’ কিনতে, পারবে না কোনো লোভের ভাত!