কবির কলম সভ্য আঁধার মোছে।
কবির ছন্দ চড়াএ নিলাম হয়।
সস্তার খাতে কবির মিথ্যে আবেগ।
কবির ভাগ্য মানেই অনিশ্চয়!
কবিরা কেবল অনুভূতি ফেরি করে।
কবিতায় বাঁধা পড়ে যায় কত পর।
কবি হিয়া তবু আঁধারে হোঁচট খায়,
কবির হয় না সংসারে বাঁধা ঘর!
কবিদের বড় আদর মাখানো চোখ।
আঙুলেও নাকি বাক দেবী বাসা বাঁধে।
খালি চোখে ধরা পড়েনা কবির রোগ।
সামাজিক বিষে কবিদের দেহ পোড়ে!
কেউ বলে কবি আত্ম সুখেই সুখী।
অগোছালো চুল, পরিপাটিহীন সাজে।
তোমরা পড়োনি কাঁচা হাতে তার লেখা,
শ্রী ছিল তাঁর মোলায়েম দুটি গালে।
কবিও তো চায়, ডাল ভাত তরকারি।
থলি ভরা সুখে চাহিদা ছিলোনা তাঁর।
থুতু ভেজা চিড়ে ঢেকে ফেলে কবি ঘর,
হতে নেই তার মায়া ভরা পরিবার।
কবিদের সাথে রাত জাগে নীরবতা।
দিন যায় তার কলমের হাঙ্গামে।
পেসমেকারে যান্ত্রিক প্রেম এলেও,
কবিতা কি আসে কৃত্রিম নোটবুকে?
কবির রক্তে আগুনের রঙ লাল।
কবির ভাষ্যে হিমেল তুষার ঝড়।
কবির মরণে বিপ্লব থেমে গেলেও,
রুদ্ধ কি হয় কবির কাব্যস্বর?
কবি হতে যদি অভিশাপ লাগে বড়ো,
নতমস্তকে নেবো সে আশীর্বাদী।
দুঃখ হলেও প্রার্থনা তুমি কোরো,
যেন পরজন্মেও কবিতা লিখতে পারি।